নিহত শাহ আলম (৩৮) ডবলমুরিং থানার চৌমুহনী বেলাল খানের বাড়ি সোলতান কলোনীর আদম আলী আকম খানের ছেলে। পাইপ ফিটার মিস্ত্রী শাহ আলমের এক ছেলে ও এক মেয়ে শিশু রয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার নিশ্চিত করে নিহতের শালা মোহাম্মদ মানিক খান বলেন, নিহতের মরদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আনার পর জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
এর আগে শনিবার দিবগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট মিয়া বাড়ির কাছে একটি আবাসিক ভবনে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এতে ভবনের মালিক বাবুলসহ অন্তত চারজন আহত হন। তারা হলেন- মো. বাবুল (৩৫), মো. শাহ আলম (৩৮), সবুজ মিয়া (১৭) এবং নজরুল আলম (৬০)।
রবিবার ভোরে মো. বাবুল, মো. শাহ আলম ও সবুজ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরমধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীরের শতভাগ পুড়ে যাওয়া শাহ আলমের মৃত্যু হয়।
নজরুল আলম (৬০) নামের একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. আমির।
দগ্ধ বাকি তিনজনের শরীরের প্রায় ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে।