শনিবার ভোরে উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকার লরির সাথে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন-পার্থ প্রতীম গুহ (৫০) ও হানিফ আহমেদ (৪১)। তারা দুজনই একটি ব্যান্ড দলের সদস্য বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৫
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই জন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার ও নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ২০
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাবির আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখি মাইক্রোবাস এবং ঢাকামুখি একটি লরি মীরসরাই সোনাপাহাড় এলাকায় নাহার এগ্রো’র সামনে ইউটার্নে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঢাকা থেকে আসা যন্ত্রশিল্পীদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই পার্থ প্রতীম নিহত হন। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে হানিফ আহমেদ মারা যান।
জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৪: আরএসএফ
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮৪ জন নিহত এবং ৬৭৩ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) তথ্যমতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা ২৫.৫৮ শতাংশ এবং হতাহতের সংখ্যা ৮.৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
শনিবার আরএসএফ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ৩৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৫ জন নিহত হন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সারা দেশে ১৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন মারা গেছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ শতাংশ এবং মোট দুর্ঘটনার ৩৭.২৩ শতাংশ।
যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৩ জন, যা মোট হতাহতের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
চারটি নৌ দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, চারজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ১১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
১৫৩টি দুর্ঘটনা (৩৫.৮৩ শতাংশ) মহাসড়কে, ১০৭টি দুর্ঘটনা (২৫.০৫ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে এবং ১১টি দুর্ঘটনায় (২.৫৭ শতাংশ) অন্যান্য সড়কে ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১০টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরএসএফ সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।