চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাঘড়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে আগুন নেভাতে গিয়ে ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বাজার সম্মুখের এই বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি গরু মারা গেছে
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আলমগীরের ভ্যান গাড়ির গ্যারেজ, মো. মুছার মোটরসাইকেল গ্যারেজ, হাসানের সাইকেলের দোকান, গণি মিজির চায়ের দোকান, সুমন মিয়ার খাবার হোটেল, বারেক গাজী, মমিন মিয়া ও নজরুল ইসলামসহ তিনজনের রড সিমেন্টের দোকান, নান্নু বহরদারের জ্বালানি তেলের দোকান, অহিদ মিয়ার ডেকোরেটর দোকান, মনসুর মেম্বারের রড সিমেন্টের দোকান ও রবীন্দ্র কর্মকারের কামারের দোকান।
স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে পৌনে ৩টার মধ্যে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুরের ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসে।
একই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। আগুনে সবচাইতে বেশি জিনিসপত্র পুড়েছে অহিদ মিয়ার ডেকোরেটর দোকানে। তিনি সম্প্রতি দোকানের সব আসবাবপত্র নতুন কিনেছেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ক্ষতিগ্রস্ত চা দোকানদার গণি মিজি বলেন, ‘৮ মাস আগে একই বাজারের ভেতরে আমার চা দোকান আগুনে পুড়ে যায়। সেখান থেকে এসে এখানে আবার দোকান শুরু করি। এখানেও আমার সব শেষ হয়ে গেল। বোনদের কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়ে মালপত্র কিনেছি। পরিবারের ৭ সদস্যের সংসার এখন কীভাবে চলবে!’
ক্ষতিগ্রস্ত রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে তার পাশের ব্যবসায়ী নান্নু বহরদার তাকে ফোন করে জানান, তাদের সব দোকান আগুনে পুড়েগেছে।
তার দোকানে থাকা মালামালসহ প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের উপপরিচালক সৈয়দ মোরশেদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ শুরু করি। আমাদের দুটি ও ফরিদগঞ্জের দুটিসহ ৪টি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।’
তিনি আরও বলেন, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১৪টি দোকান