এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় এমভি সোনার তরী ও পরে আরও কয়েকটি লঞ্চ চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে শুরুর দিনেই সরকারি নিয়ম-নীতি ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না লঞ্চগুলো।
দুপুরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রীদের লঞ্চে উঠানো এবং বাড়তি টিকেট বিক্রি করায় এমভি রফরফ লঞ্চের ৩জন স্টাফকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউনের ফলে ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে চাঁদপুরের লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিন লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখার কথা বললেও এখানো তা মানা হয়নি। যাত্রীদের অনেকের মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তাছাড়াও লঞ্চ কর্তৃপক্ষও বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লঞ্চগুলোতে হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা বা জীবানুনাশক স্প্রে করতেও দেখা যায়নি।
করোনার আতংকে তোয়াক্কা না করে আগের মতই যাত্রী পরিবহন করছে। যাত্রীরাও কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনেই লঞ্চে যাত্রা করছেন।
যাত্রীদের নিজেদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাতায়াত করার অনুরোধ জানিয়ে চাঁদপুর জেলা বন্দর কর্মকর্তা আ. রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় পর আজ থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। লঞ্চগুলো যেন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি।
কোনো লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন নৌরুটে প্রায় ৪০/৪৫টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী হওয়ায় রামগঞ্জ, রায়পুরসহ অনেক উপজেলার মানুষ অটোরিক্সায় চাঁদপুরে এসে লঞ্চে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন।