এই ঘটনার পর দুইদিন ধরে অবরুদ্ধ ছিল তার পরিবার। পরে গত সোমবার গ্রাম পুলিশের সাহায্যে তারা ওই চর থেকে ট্রলারে করে পালিয়ে জেলা শহরে এসে আশ্রয় নেন।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্বামী ঘটনায় জড়িত চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুইজনসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ
দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর (৩০) বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ৭/৮ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাদের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তার স্বামীকে গলায় ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনা জানাজানি হলে তার গোটা পরিবারকে গুম করা হবে বলেও হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া ওই গৃহবধূ যাতে চিকিৎসা না নিতে পারে সেজন্য ওই পরিবারের সবাইকে দুইদিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
গ্রাম্য সালিশে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে জুতা পেটা করা হলে দুর্বৃত্তরা আবারো ওই বাড়িতে হামলা চালায়। শেষ পর্যন্ত গ্রাম পুলিশের সহায়তায় সোমবার চাঁদপুর শহরে আশ্রয় নেয় পরিবারটি।
পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিমুদ্দীনের সহযোগিতায় ওই গৃহবধূকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি দু:খজনক। ’
তবে এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান।
চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, মামলাটির তদন্ত এবং অভিযুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এলাকায় ঘুরে এসে ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।’