এরই মধ্যে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও হাটবাজার।
গেল বর্ষা মৌসুমে দেবিনগর ইউনিয়নে নদী ভাঙনে অনেক আবাদি জমি মহানন্দায় বিলীন হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে আবারও এ দুর্যোগ শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। দীর্ঘ এলাকাজুড়ে চলছে ভাঙন। আতঙ্কে লোকজন বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমানে ধুলাউড়ি হাট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাসহ বহু ঘরবাড়ি হুমকিতে রয়েছে।
দেবিনগর ইউপির সদস্য বকুল ইসলাম জানান, খসুমড়লের গ্রাম থেকে পাড়ালটোলা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ভাঙন। ধুলাউড়ি হাট, একটি কলেজ, দুটি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবিনগর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, মসজিদসহ পুরো এলাকা ভাঙনের হুমকির মধ্যে রয়েছে।
‘যেভাবে ভাঙন চলছে তা রোধে শিগগিরই উদ্যোগ না নিলে আমরা ভিটামাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যাব,’ বলেন তিনি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দীন বলেন, ‘আমরা দেবিনগরবাসী ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। যেকোনো মুহূর্তে পুরো এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।’
দেবিনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বিশ্বাস বলেন, ‘গত বছর এখানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এবারও পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক শ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে মাত্র দুই কিলোমিটার ব্যবধানে অবস্থিত পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধও হুমকির মধ্যে পড়বে। তাই ভাঙন প্রতিরোধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুর রহমান জানান, বিষয়টি তারা মনিটরিং করছেন এবং তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অনুমতি পেলে বস্তা ফেলে অস্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি কমিটিতে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।