মঙ্গলবার দুপুর ১টায় পাবলিক মাঠের জাহাঙ্গীর টাওয়ারের চতুর্থ তলার ফ্লাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শাহ আলম বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকের এনেসথেসিয়ার বিভাগের চিকিৎসক। তিনি একসময় বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, ডা. শাহ আলম ওই ক্লিনিকে কর্মরত অবস্থায় চাকুরি হারানোর ভয় দেখিয়ে এক স্টাফ নার্সকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি ওই স্টাফ নার্সকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কাজ করাতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে ওই স্টাফ নার্স সোমবার রাতে ডা. শাহ আলম ও ক্লিনিকের পরিচালকসহ তিনজনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর ওই রাতেই বাউফল সার্কেলের সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে অভিযুক্ত ডা. শাহ আলমকে গ্রেপ্তারে অভিযানে যায় পুলিশ। কিন্তু তিনি বাসার দরজা না খোলায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পরে সারারাত পুলিশ তার বাসা ঘেরাও করে রেখে আজ দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ডা. শাহ আলমের বাড়ি বাউফল উপজেলার দাশপাড়া গ্রামে। তাকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালী আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক জানান, ‘অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’