গত বৃহস্পতিবার চৌগাছার হাকিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাকিমপুর ইউনিয়নের ৪নং হাকিমপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামানের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তের অংশ হিসেবে গণশুনানি করেছেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ন চন্দ্র পাল।
এরইমধ্যে, রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান মিলনের বিরুদ্ধে ৩১ জন নারী-পুরুষ তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সহায়তার কার্ড ও কাজ দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে একটি গণঅভিযোগ দাখিল করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গণঅভিযোগ জমা দিতে আসা ভূক্তভোগীরা জানান, তাদের কাছ থেকে চালের কার্ড (ভিজিডি), মাটিকাটা (এলজিইডির সড়ক মেরামত প্রকল্প) কাজ দেয়া, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ও টিউবয়েল দেয়ার নামে এসব টাকা নিয়েছেন।
মিলন মেম্বার নিজে তাদের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে এ টাকা নিয়েছেন জানিয়ে অভিযোগকারীরা বলেন, মেম্বার আমাদের টাকা ফেরতও দিচ্ছেন না আবার কার্ড বা কাজও করে দিচ্ছেন না। তার কাছে গেলেই বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকী দিচ্ছেন। কাউকে কাউকে বলছেন তাড়াতাড়িই ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই গ্রামের কিছু লোক একটি অভিযোগ দিতে এসেছিলেন। ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকে হওয়া একটি অভিযোগ সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করছেন। আজকের অভিযোগটিও তার কাছে (এসিল্যান্ড) জমা দিতে বলা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, আমি ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকে করা একটি অভিযোগের তদন্ত করছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি গণশুনানিও করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও শুনানি করা হবে।
নতুন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগের কথা শুনেছি। অভিযোগটি আমার কাছে এলে তদন্ত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট জমা দেব।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান মিলনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগায়োগ করা চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।