নিহত মাশরাফিয়া জান্নাত তাসমিয়া ওই গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তাসমিয়ার বাবা ভারতে থাকেন এবং মা অসুস্থ বোনকে দেখতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে তাসমিয়া তার চাচার সাথে তার কক্ষে ঘুমিয়েছিল। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় চাচা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক গাড়ি নিয়ে গ্যাস আনতে চলে যান। শিশুটি তখনও তার কক্ষে ঘুমাচ্ছিল।
সকাল ৮টায় তাসমিয়ার বড় বোন তাকে নিয়ে নাস্তা করে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ১০টায় তাসমিয়াকে চাচার কক্ষের পাশের কক্ষে জানালার রডের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পার্শ্ববর্তী রাস্তা ও বাড়ির লোকজন। শিশুটির বড় বোন এসে তাকে জানালার রডের সাথে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার মাকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানায়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, ‘যেহেতু ছোট মেয়ে, তাই আমাদের সন্দেহ থেকেই যায়। সঠিক তদন্তের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘শিশুটিকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। এত ছোট একটা মেয়ে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। মনে হচ্ছে ঘটনাটি রহস্যজনক।’