কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির রেশ কাটতে না কাটতেই গাংনী নির্বাচন অফিসে এ ধরনের কেলেংকারির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য’র সৃষ্টি হয়েছে।
তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের শিলিল পাড়ার মৃত দিদার শিলিলের ছেলে প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত একটি কাজে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানতে পারি নির্বাচন কমিশনের ওয়েব পোর্টালে আমার কোনো তথ্য নেই। সেখান থেকে জাননো হয়, আমি বেঁচে নেই উল্লেখ করে ভোটার তালিকা থেকে আমার নামসহ সকল তথ্য অপসারণ করা হয়েছে। বিষয়টি যাচাই করতে নির্বাচন অফিসে গেলে ভোটার তালিকায় নাম নেই বলে নির্বাচন অফিস তা নিশ্চিত করে।’
তিনি আরও জানান, পরে এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন নিয়ে তালিকাভুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেয়ার জন্য গাংনী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে গত ১০ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
নজরুল ইসলামের জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৫৭১৪৭৯৪৩৫১৮৯৪। তার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকলেও তাকে মৃত দেখিয়ে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নজরুল।
ভুক্তভুগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়া কিংবা অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ওয়েব পোর্টাল থেকে নজরুলের নামসহ সকল তথ্য বাদ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন অফিসের অসাধু ব্যাক্তিদের খামখেয়ালিতে জীবিত ব্যাক্তিকে মৃত ঘোষণা করে দেয়া চরম অন্যায়।’
তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, নজরুল ইসলামকে পুনরায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে ৯ সেপ্টেম্বর একটি প্রত্যায়নপত্র দেয়া হয়েছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বপালনরত মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কবির উদ্দীন বলেন, ‘তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের তদারকির অভাবে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’