শনিবার মধ্য রাতে শহরের প্রফেসরপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় এক তরুণ ও তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক কৃতরা হলেন- জয়পুরহাট শহরের গুলশান মোড় এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে সুমন আহম্মেদ (৩০), তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২০) এবং পৌর শহরের তাঁতীপাড়া মহল্লার মেহেদি হাসানের স্ত্রী মিনু আক্তার (১৯)।
র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহাইমেনুর রশিদ জানান, নাচ-গান শেখানোর নামে একটি ডান্স গ্রুপ খুলে দরিদ্র পরিবারের স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল সুমনসহ প্রতারক চক্রের সদস্যরা। তারা তরুণীদের ভয় দেখিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে আসছিল।
পরে গোপন তথ্যর ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণের ছয়টি মোবাইল ফোন, ভিডিও তৈরির একটি ক্যামেরা স্ট্যান্ড এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ জিম্মি করে রাখা এক তরুণ ও তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটকদের জয়পুরহাট থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।