ব্ল্যাকমেইল
মেয়েদের ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল, ডেলিভারিম্যান গ্রেপ্তার
অনলাইনে পণ্য অর্ডারকারীর ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও সংগ্রহ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান ওরফে আল-আমিন (২২) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত উপকমিশনার রেজওয়ান আহমেদ এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জামায়াত শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
গ্রেপ্তার মিজান জামালপুরের চরগাঁওকোড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে।
জিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার রেজোয়ান আহমেদ জানান, অভিযুক্ত মিজান দারাজ অনলাইন শপের ডেলিভারি ম্যান। অনলাইন শপে নারী ও উঠতি বয়সি মেয়েদের পণ্য ডেলিভারির সময় ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও সংগ্রহ করে প্রতারণা, যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চাপ ও টাকা দাবি করে আসছিলেন মিজান। ভুক্তভোগী এক নারী ও তার পরিবারের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুরে সদর থানার রথখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন শপে নারী ও উঠতি বয়সি মেয়েদের পণ্য ভেলিভারি দেয়ার কথা বলে কৌশলে তাদের মোবাইলটি হাতে নিত। তারপর মোবাইলের গ্যালারিতে ঢুকে শেয়ারিং অপশনে গিয়ে শেয়ার উইথ পার্টনার হিসাবে ডেলিভারি ম্যান তার ব্যক্তিগত জিমেইল একাউন্ট অ্যাড করে মোবাইলটি ক্রেতাকে ফেরত দিয়ে দিত। পরবর্তীতে ডেলিভারি ম্যান মোবাইলের গুগল ফটোতে ঢুকে শেয়ারকৃত নারী ক্রেতার গুগলে থাকা সব ছবি তার মোবাইলে ডাউনলোড করে নিয়ে নিত। পরে নারীর আপত্তিকর ও গোপন মুহূর্তের ছবি নিয়ে ব্ল্যাক মেইল করাসহ টাকা দাবি এবং টাকা না দিলে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।
গ্রেপ্তার মিজানুরের ফোনে ভুক্তভোগী এমন অনেক নারীর ব্যক্তিগত মুহূর্ত ও আপত্তিকর ছবিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ১১ ইমেইল আইডি লগইন অবস্থায় পাওয়া গেছে।
তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নগ্রাফী আইনে মামলা হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার মিজান জামালপুরের একটি হত্যা মামলার আসামি বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৭ সদস্য আটক
১ বছর আগে
আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
কক্সবাজারে পর্যটকদের টার্গেট করা হয়। এরপর মাদক আর নারী দিয়ে তাদের ফাঁদে ফেলা হয়। ফাঁদে ফেলার কৌশল হিসেবে গোপন ক্যামেরায় নারীদের সঙ্গে তাদের বিশেষ ছবি তোলা হয় এবং মাদকসহ তোলা হয় আরও নানা ছবি। পরে পর্যটকদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা দাবি করে। তা না দিলেই নারী ও মাদকের সঙ্গে তোলা ছবি ফাঁস করে দেবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
এমনটি স্বীকার করেছেন চার পর্যটককে ব্ল্যাকমেইল করে বন্দি করার দায়ে অভিযুক্ত দুই আসামি। ১৩ আগস্ট ট্যুরিস্ট পুলিশের হাতে আটক হওয়া দুই আসামি পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেন।
এমন তথ্য দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, ৭ আগস্ট কক্সবাজার পর্যটন জোনে কথিত শিউলি কটেজে চার পর্যটককে অপহরণ করে টাকা আদায়ের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের নামে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই হামিদ মামলাটি তদন্তকাজ পরিচালনা করছে। তদন্তে সেদিনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারমধ্যে সরাসরি জড়িত দুইজন আসামিকে ১৩ আগস্ট রাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে কটেজ থেকে চারজন উদ্ধার, ‘দালালচক্রের’ ১১ সদস্য আটক
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামপুরের নুরুল আজিমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৫) , একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মো. সাকিল (২২)। তাদের ১৩ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টের পাশ থেকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে আরও ৮/১০ জন জড়িত রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত তারা ট্যুরিস্টদের বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে এই কটেজে এনে নারী, মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। তারা পর্যটকদের আপত্তিকর ছবি ধারণ করে রাখে এবং ভয় ভীতি দেখায় যে কোথাও অভিযোগ দিলে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে। যার কারণে ভুক্তভোগীরা কেউ অভিযোগ দেয় না।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সঙ্গে জড়িত একটি বড় দালাল সিন্ডিকেটের তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় মূলত কয়েকটি কটেজে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়ে আসছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম আরও জানান, তদন্তে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। উক্ত ঘটনায় সম্পৃক্ত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার ২
২ বছর আগে
সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘ব্ল্যাকমেইল’
সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী স্মৃতি রানী দাসের আত্মহত্যার নেপথ্যে ছিলো ব্ল্যাকমেইল। ঘটনার দুইমাস ১২ দিনের মাথায় তার মৃত্যুর জন্য এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরের জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শ্যামল দাস (২১) হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুধাংশু দাসের ছেলে।
জানা যায়, এ ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে শ্যামল দাস। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আাদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
সেই জবানবন্দির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র ও পুলিশ জানায়, স্মৃতি রানী দাসের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার হ্যাক করে আপত্তিকর ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে মানসিক চাপে ফেলে শ্যামল দাস। এভাবে তার কাছ থেকে টাকা আদায় করত।
তবে, এ ঘটনায় স্মৃতিরানী আত্মহত্যা করবেন তা ভাবতে পারেনি। স্মৃতির ছবি পাঠিয়ে সে বিভিন্ন সময় ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং (বার্তা) পাঠাতো। সর্বশেষ তাকে বিকাশে ২৫০০ টাকা পাঠিয়েছিল স্মৃতি।
বিকাশের নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
শাহপরান (র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুল হক জানান, স্মৃতির বাবাকে বাদী করে আমরা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা নিয়েছি। ওই মামলায় শ্যামল দাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে সে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি জানান, ম্যাসেঞ্জার হ্যাক করে স্মৃতি রানী দাসের ব্যক্তিগত ছবি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয় শ্যামল দাস। এরপর স্মৃতি রানীকে মানসিক চাপে ফেলে টাকা আদায় করত। আত্মসম্মানের ভয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, স্মৃতির মোবাইল ফোনের লক খুলতে পারলে আরও তথ্য জানা যাবে। সেটি সিআইডির মাধ্যমে এক্সপার্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আপাতত পাঁচ দিনের ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদানের তথ্য তদন্তকারী কর্মকর্তার সংগ্রহে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে দুপুরে এমসি কলেজ ছাত্রী হোস্টেলের চার তলার ৪০৩ নং কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে স্মৃতি রানীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি হোস্টেলের ৩য় তলার ৩০৭ নং কক্ষে থাকতেন। বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামে। তার বাবার নাম যুগল কিশোর দাস। তিনি এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাড়ি থেকে ৫ প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, ২ জনের মৃত্যু
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
আপত্তিকর ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে এক প্রবাসীর স্ত্রী বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তালুকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুবর্ণা বেগম (১৯) ওই বাড়ির ঝন্টু তালুকদারের মেয়ে। তিনি হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ড বদরপুর গ্রামের কাতার প্রবাসী শরীফ উল্লাহর স্ত্রী।
নিহত সুবর্ণার বাবা ঝন্টু তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে সুবর্ণাকে আড়াই বছর আগে বদরপুর গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে শরীফের সাথে বিয়ে দিই। কিছু দিন যাওয়ার পর আমার মেয়ের জামাই প্রবাসে চলে যান। সেই থেকে তার ভাসুর আবু তাহের মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, সে আমার মেয়ের গোসলের ভিডিও ধারণ করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
ঝন্টু তালুকদার আরও জানান, তারা (আমার মেয়ের শাশুড়ি পেয়ারা বেগম) সোমবার আমার স্ত্রীকে খবর দিয়ে ডেকে নিয়ে আমার মেয়েকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ওই দিন রাতেই তারা আমার বাড়ি এসে মেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শাসিয়ে যায়। এ নিয়ে সুবর্ণার মন খারাপ ছিল।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আমরা ঘরের একটি কক্ষে বসে কথা বলছিলাম। তার ফাঁকে মেয়ে অন্য রুমে গিয়ে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। রুমে গিয়ে দেখি মেয়ের লাশ ঝুলছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য তার ভাসুর তাহের দায়ী। আমি তার ফাঁসি চাই।
আরও পড়ুন: লালবাগে তিন তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশীদ ইউএনবিকে জানান, সুবর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ওসি জানান।
৩ বছর আগে
জামিন: পরীমণির তো হলো, অন্য দুজন মেয়ের কথা কে বলবে?
সারা দেশ কাঁপিয়ে পরীমণির জামিন হলো। বেশ জনপ্রিয় একটি বিষয়। বিভিন্ন টকশো, ওয়েবিনার, আলোচনা সভায় তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই তার সাহসের কথা বলছেন। আমরাসহ সবাই খুশি। কিন্তু আর দুজন পিয়াসা আর মৌ, তাদের কথা কি হারিয়ে গেছে? তাদের কথা কে বলবে? পরীমণি চর্চার মাঝখানে আমরা কি তাদের ভুলে গেছি?
কোনো আলাদা অপরাধ নয় তাদের
তাদের যে অপরাধ সেটা একই-মদ, ইয়াবা, ব্ল্যাকমেইল… তাদেরই প্রথম ‘রাতের রানী’ নাম দেয়া হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘এরা দিনে ঘুমায় আর রাত ভর পার্টি করে। তারা বড়োলোকের ছেলেদের সাথে ফষ্টি নষ্টি করে, ছবি তোলে, তারপর ব্ল্যাকমেইল করে’ ইত্যাদি। তাদের বেশি দিন রিমান্ড হয়নি, পরে সেখান থেকে জেলে। তাদের জন্য কোনো আন্দোলন হয়নি, তাদের কোটি কোটি সমর্থক নাই। সেই কারণেই কি তাদের জামিনের জন্য কেউ হাইকোর্টে রিট করেনি?
আইন ও সালিশ কেন্দ্র?
আইন ও সালিশ কেন্দ্র কেবল পরীমণির জন্য রিট করলো কেন? তারা তো দেশের নামজাদা আইন সহায়ক ও নারী অধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, কি হতো আর দুই-তিনটা নাম জুড়ে দিলে?
জামিনের অধিকার সবার আছে। তবু সবার কথা তুলছি না, পিয়াসা আর মৌয়ের কথা বলছি। কারণ তারাও কারো না কারো কন্যা, যে কোনো কারণেই হোক অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত তবে বিচার হয়নি এখনো। তাই জামিন চাওয়াটা কি অপরাধ? পাওয়াটা কি অন্যায়?
তাদের মুক্তি-জামিন হয়তো কোনো রাজনৈতিক বিজয় হবে না। হয়তো তারা কাউকে ‘বিচ’ বলবে না, পত্রিকা হেডলাইন করবে না, টকশো হবে না কিন্তু রাষ্ট্রের যে শক্তি তাতে তাদের জামিন দেয়াটা কিছুই নয়। সেই কারণেই বলছি।
আমাদের আন্দোলন ব্যক্তির জন্য হয়ে গেলে, যে উদ্দেশে এতো সব কথা, লেখা, মানববন্ধন সবই দুর্বল হয়ে যাবে। পরীমণির জামিন লাভে অনেকে রাজনৈতিক অর্জন খুঁজে পেয়েছেন, কেউ পেয়েছেন আদর্শগত বিজয়। সবার জামিন হলে সমাজের তেমন কোনো লাভ হবে না হয়তো। তবে প্রমাণ হবে গ্রেপ্তার হওয়ার বেলায় সব অপরাধী যেমন সমান, জামিন পাওয়ার ব্যাপারেও তাই। ওদের জামিন দিন।
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন ও ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’
পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণি, পিয়াসা ও হেলেনাসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
৩ বছর আগে
হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
কিছু দিন আগেও হেলেনা জাহাঙ্গীর নামটা কেউ কেউ জানতেন, আজ সবাই জানেন। তার বাসায় র্যাব তল্লাশি করেছে, কী সব পেয়েছে - মদ, হরিণের চামড়া, জুয়ার সামগ্রী ইত্যাদি। এরপর তার পরিচালিত জয়যাত্রা টিভি অফিসে অভিযান চালানো হয়, বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায় বলছে র্যাব। এটির কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই বলে তারা জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল’ করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রিমান্ডে আছেন, মামলা হয়ে গেছে, আগামী কয়েক মাস তার জেলে থাকার আশঙ্কাই বেশি। অথচ ক’দিন আগেও আওয়ামী লীগ নেত্রী/কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, এখন তিনি একজন গ্রেপ্তার হওয়া অপরাধী।
পাবলিক কী ভাবছে?
পাবলিক কিছু ভাবছে না, তারা মজা পাচ্ছে কারণ তাদের ভাবাভাবিতে কিছু এসে যায় না। তিনি সরকারি দলের লোক, এটাই সবাই জানে, তাই তার পরিণতিতে অনেকেই আশ্চর্য। তাদের ধারণা, তিনি এমন কোনো বড় নেতা বা বড়লোক নন যে তার গ্রেপ্তার বা বাড়িতে অভিযান জাতীয় নিউজ হতে হবে। তাই সবার ধারণা, তিনি হয়তো বড় কাউকে খেপিয়েছেন, যার মাশুল দিতে হচ্ছে। সবার হয়তো মনে আছে তিনি তারকা পরিমনির বিরুদ্ধে অনেক কিছু বলেছিলেন সেই ঘটনার সময়। তখন তিনি বোট ক্লাবের মেম্বার ছিলেন। ওপর তলার বাসিন্দা। আজ তিনি জেলে, প্রায় মুরুব্বীহীন।
আঙ্গুলটা তাই তার জয়যাত্রা টিভির দিকে। র্যাব ইঙ্গিত করেছে যে ওই টিভি ব্ল্যাকমেইলিং করতো এবং এখানেই আসল বিপদ। এর আগেও জনৈক হোটেলবাসিনী ব্ল্যাকমেইলিং ব্যবসা করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন, সহজে বের হবেন বলে মনে হচ্ছে না। তার সহযোগীরাও যথেষ্ট ‘রাষ্ট্রীয় খাতির’ উপভোগ করেছেন। অতএব বোঝা দরকার, খুচরা পয়সা বাজে বেশি, কিন্তু শেষ কথা বলে হাজার টাকার নোট।
সেটা কি তার চাকরি বাকরি লীগ?
মনে হচ্ছে কথায় কথায় এই লীগ ওই লীগ করা কিছুটা কমবে এবার। তবে যে কারণে এগুলা হয় তার কারণ হচ্ছে লীগ ব্যবহার করে সুবিধা গ্রহণ, চাঁদাবাজি বা অন্য কিছু করা সহজ। সরকারি দলের ভাবমূর্তি এতে ক্ষুণ্ণ হয়। আর বিরোধী দল তো মাঠেই নেই , কেউ তাদের সিরিয়াসলিও নেয় না। সেফুদার সঙ্গে হেলেনার যোগাযোগটাও একটু হাস্যকর, কারণ তিনি একজন হাসির পাত্র, কেউ সিরিয়াসলি নেয় না।
তাহলে যে শিক্ষাটা পাওয়া গেলো তা হচ্ছে সুবিধার জন্য কে কী করতে পারবেন তার একটা সীমারেখা আছে, সেটা দল করেন আর নাই করেন। যারা এই লাইনের তারা জেনে নিন। কী ও কেন করবেন সেটা আপনাদের বিষয়। আমরা শাহেদ, সম্রাট, সাবরিনা ও অন্য নাম দেখে এটা বুঝি।
মিডিয়ার কালো ব্যবসা যারা করেন তারা সাবধান। আপনারা আজ সুখে আছেন কিন্তু কার গায়ে যে কখন হাত পড়ে এটা বুঝে করেন। ক্ষমতাধররা যখন ক্ষেপে যায় তখন কী হয় তার প্রমাণ দেখেন। উপরে উঠতে চাওয়া ভালো কিন্তু রাস্তা চেনা থাকা দরকার।
ঢাকার যত ক্লাব আছে - যার অনেকগুলোর মেম্বার হেলেনা। এতে এটা প্রমাণ হয় যে সব কিছু হচ্ছে যোগাযোগের তেজারতি। যতদিন এটা থাকবে, ততদিন এদের দেখতে হবে। কেউ ভালো চলছে, কেউ হোঁচট খাচ্ছে। পায়ের নিচে এই ওপরতলার কোনো মাটি নাই।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর তিন দিনের রিমান্ডে
আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক
৩ বছর আগে
ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর ছবি সুপার কম্পোজের মাধ্যমে অশ্লিল ছবির সঙ্গে জোড়া দিয়ে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. জাহাঙ্গীর আলম (২২) কুমিল্লার চান্দিনা থানার মহনপুর গ্রামের মো. ওয়াহিদের ছেলে।
আরও পড়ুনঃ মরিশাসে কাজে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, ন্যায়বিচার চান নারী
সিএমপির ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, ভুক্তভোগী ১৪ বছরের শিশু। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জাহাঙ্গীর প্রায়ই তাকে বিরক্ত করত।একদিন বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর মেয়েটি বাসায় যায়। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকারের চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু নগ্ন ছবি দেখায়। মূলত ভুক্তভোগীর ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীরই এই ছবি বানায়। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৪ বছরের সেই শিশুকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে এই ঘটনা কাউকেই বলেনি। তার কিছুদিন পর জাহাঙ্গীর আরও দুইবার ভুক্তভোগীর বাসায় গেলে সে তার চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করে। মরিচের গুড়ার ভয়ে কাছে ঘেষতে না পারায় জাহাঙ্গীর অন্যভাবে শিশুটিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। শেষে মঙ্গলবার ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ জানালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ পান দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণীভিকটিমের মা বাদি হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
৩ বছর আগে
স্কুলছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, চট্টগ্রামে শিক্ষক আটক
চট্টগ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর অশ্লীল ছবিসহ ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার অপরাধে এক শিক্ষককে আটক করেছে র্যাব।
আটক আয়াতুল ইসলাম (৩৫) পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থানার মুসলিম ব্লক এলাকার মো. ফয়জুল হকের ছেলে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মানব পাচারের অভিযোগে ২ তরুণ আটক
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হাটহাজারী থানাধীন কুয়াইশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় বলে তিনি জানান।
সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জানান, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম শহরের নিউরণ ইংলিশ স্কুলের সাবেক এক শিক্ষক ১২ বছর বয়সী ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাথরুমের কিছু অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মেয়েটিকে দেখিয়েছিল। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিওটি তার বন্ধু বান্ধবীকে পাঠিয়ে দেয়া এবং ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় তিন বছর মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইমু, ম্যাসেঞ্জার এবং হোয়াটসআ্যাপে তার অশ্লীল ছবি ওই শিক্ষকের কাছে পাঠাতে বাধ্য করে।
আরও পড়ুন: ‘মানব পাচারকারী চক্রের’ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার, ৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার
তিনি জানান, প্রায় ৩ বছর উক্ত শিক্ষকের এমন ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে মেয়েটি (ছাত্রী) মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ওই ছাত্রী আর উপায়ন্তু না দেখে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। পরবর্তীতে তার (ছাত্রী) পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনাটি র্যাবকে অবহিত করে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক আয়াতুল ইসলামকে হাটহাজারী থানাধীন কুয়াইশ এলাকা থেকে আটক করে।
এদিকে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শিক্ষক আয়াতুল ইসলাম র্যাবের কাছে তিনি নাবালিকা ছাত্রী ব্ল্যাকমেইল করে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। এছাড়া যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষকের মোবাইল ফোন থেকে মেয়েটির শতাধিক অশ্লীল ছবি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি আটক শিক্ষকের ফেসবুকে ও ম্যাসেঞ্জারে ভুক্তভোগী ছাত্রীর কুরুচিপূর্ণ অনেক অশ্লীল ছবির সত্যতা মেলে। ফলে শিক্ষকের মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে হেফাজত নেতা লোকমান হোসেন আমিনী আটক
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব শর্মা জানান, আটক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে শনিবার আদালতে তোলা হবে।
৩ বছর আগে
ডান্স গ্রুপের আড়ালে দেহ ব্যবসা, মূল হোতাসহ আটক ৩
জয়পুরহাটে ডান্স গ্রুপের আড়ালে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের তরুণ-তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে কৌশলে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে প্রতারণা চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব।
৪ বছর আগে
অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, যুবক গ্রেপ্তার
অনলাইনে প্রেমের সম্পর্ক করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে দায়েরকৃত মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৪ বছর আগে