তিনি বলেন, ‘দ্রুত তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। নদ-নদী ভাঙন রোধে ড্রেজিংসহ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বড় বড় নদ-নদীর ভাঙন রোধে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’
বিকালে কুড়িগ্রামে পঞ্চম দফা বন্যায় জেলার ধরলা, ব্রহ্মপুত্র এবং তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ ফারুক বলেন, ‘কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধা ভাঙন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে স্থায়ী সমাধানে প্রকল্প নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল। বিগত ১০ বছর পূর্বে এই অবস্থা ছিল না। সরকারের অর্থনৈতিক সমস্যা নেই। রাতারাতি নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে টেকনিক্যাল কমিটিসহ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে সময় প্রয়োজন।’ এজন্য কুড়িগ্রামবাসীকে ধৈর্য ধরতে বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়ের বন্যাকবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন জাহিদ ফারুক। পরে তিনি মোগলবাসা, চিলমারী রমনা এবং উলিপুর উপজেলার অনন্তপুর, গুনাইগাছটি বাঁধের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আসলাম সওদাগর, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) মহাপরিচালক এ.এম. আমিনুল হক, প্রধান প্রকৌশলী উত্তরাঞ্চল জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর পওর সার্কেল আব্দুস শহীদ, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।