আরও পড়ুন: শীতের তীব্রতা বেড়েছে নওগাঁয়
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরেকটু কমে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শীতের তীব্রতা ক্রমশ বেড়ে যাবে। এই সপ্তাহে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো জেলায় ক্রমশ শীতের তীব্রতা বাড়ছে। কুয়াশার পাশাপাশি হালকা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। রাস্তায় বের হলেই কুয়াশায় গা ভিজে যাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে থাকে। বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরছে। ফলে রাস্তা-ঘাট মাঠ ভিজে যাচ্ছে কুয়াশায়।
আরও পড়ুন: শীতের শুষ্কতায় উপকারী বন্ধু তেল
ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। সকালে থেকে কুয়াশার কারণে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। রিকশা-ভ্যান চালকরাও যাত্রী না পেয়ে অলস সময় পার করছেন। রাস্তা-ঘাটেও লোকজনের উপস্থিতি কমছে। শহরের দোকানপাটও দেরিতে খুলছে।
অিারও পড়ুন: শীতের সবজিতে সয়লাব নওগাঁর হাট-বাজার
রিকশা চালক আসলাম হোসেন জানান, মাত্র ১০ হাত দূরেও ঠিকমতো কোনো কিছু দেখা যায় না। রিকশায় তেমন কোনো যাত্রী উঠছে না। ভাড়া না পেলে খুব বিপদ। টাকা রোজগার না হলে সংসার চলবে না।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জেলার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে।
অপরদিকে, উত্তরের জেলা নওগাঁয় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। গত কয়েকদিন থেকেই সূর্যের দেখা নেই, আকাশ মেঘলা। সেই সাথে আছে ঘন কুয়াশা। এতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
আরও পড়ুন: শীতে পা ফাটার সমস্যা দূর করবেন যেভাবে
সন্ধ্যা নামলে পথঘাট, হাট-বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমে যায়। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্থ হওয়ায় দিন এনে দিন খাওয়া কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা গরম কাপড়ের জন্য ফুটপাথের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।