প্রাচীন এই মসজিদটির এখন সংস্কার কাজ চলছে, কিন্তু অর্থের অভাবে কাজ এগিয়ে নিতে পারছেন না মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের কাজ দ্রুত শেষ করতে পারবেন বলে জানান মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের স্বরুপপুর গ্রামে অবস্থিত এ অঞ্চলের প্রাচীনতম মাটির ঢিবি থেকে বের হয়ে আসা একটি মসজিদ, যার নামকরণ করা হয়েছে স্বরুপপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।
স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন, ‘আমাদের ধারণা সুলতানি আমলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। সুলতানি আমলের শাসনের অবসান ঘটলে ধর্মীয় উপাসানালয় এই মসজিদকে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। মসজিদের উত্তর পাশে আছে সিঁড়ি বাঁধা একটি পুকুর। অনেকের ধারণা এই সিঁড়ি বেয়ে মানুষ পুকুরের পানিতে ওজু করে মসজিদে নামাজ আদায় করতেন, পুকুরটি থাকলেও সেই সিঁড়ি মাটির সাথে মিশে গেছে।’
মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আবুজার গিফারী জানান, প্রায় চার বছর ধরে তিনি এই মসজিদে ইমামতি করেছেন। ঐতিহ্যগাঁথা এই মসজিদে প্রতি জুম্মায় শতশত মুসল্লির আগমন ঘটে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘জরাজীর্ণ মসজিদটি ভেঙে আমরা নতুনভাবে দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজে হাত দিয়েছি। কিন্তু অর্থাভাবে সেভাবে কাজ করতে পারছি না।’ মসজিদের বাকি কাজ সমাপ্ত করার জন্য তিনি সরকারি বা সমাজের দানশীল ব্যক্তির সহযোগিতা কামনা করেছেন।