মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফরাক্কাবাদ ইউপি'র ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে লাজু ইসলাম (২৫), শরিফ উদ্দীনের ছেলে মামুন হোসেন (৩০) ও মোজাম হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০)।
আরও পড়ুন: তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
বন্ধুর জন্য মোটরসাইকেল কিনে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
বিরল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাহারুল ইসলাম জানান, রাত ১০টার দিকে বোচাগঞ্জ অভিমুখ থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো- ১৮-৭৯০২) সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের তিনজন আরোহী নিহত হয়। ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয়রা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দিনাজপুর ও বিরল স্টেশনের কর্মীরা যৌথ সহযোগিতায় থানা পুলিশ নিহতরে মরদেহ উদ্ধার করে ও যানচলাচল স্বাভাবিক করে।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাক ও মোটরসাইকেল হেফাজতে নিয়ে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক নিহত
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকসহ নিহত ২
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়াই দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালানো, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, মহাসড়ককে নির্মাণ ত্রুটি ও রাস্তার পাশে হাট-বাজার ও দোকানপাট বসানো।
এছাড়াও অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন না হওয়া মূল কারণ বলে প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী যানবাহনগুলো হচ্ছে বাস-ট্রাক, মোটরসাইকেল, কাভার্ডভ্যান, প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও সাইকেল উল্লেখযোগ্য।