স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ডেঙ্গু শনাক্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গেল কয়েক সপ্তাহে দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুও বেড়েছে। একইসঙ্গে প্রতিদিন শতশত মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে মশা কমাতে উদ্যোগ নিতে হবে।
রবিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত টিবি বিষয়ক নবম জেএমএম প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন প্রতি জেলাতেই ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে, এটি খুবই আশঙ্কাজনক বিষয়। আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমরা সহায়তাও দিচ্ছি। আমরা চিকিৎসা দিতে পারি। কিন্তু আক্রান্তের হার কমাতে মশা কমাতে হবে।
আরও পড়ুন: মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনার চাপ সামলে স্বাস্থ্য বিভাগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এ সময় আমাদের স্বাস্থ্যখাত চাপে পরেছিল। হাসপাতালের বেশিরভাগ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য দিয়ে দিতে হয়েছিল। তখন সরকারকে নতুন নতুন হাসপাতাল করতে হয়েছে। নতুন নতুন শয্যা ও সুযোগ সুবিধা যুক্ত করতে হয়েছে। এ সময় টিবিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে খুব দ্রুতই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। বাংলাদেশে ৯০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। যেখানে সারাবিশ্বে ৭০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো টিবি লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব। ডায়াবেটিস, তামাকজাত দ্রব্যের সেবন টিবি নির্মূলের বড় অন্তরায়। তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে টিবি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে টিবি নির্মূলে কাজ করতে হবে। তাহলেই ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টিবিমুক্ত হবে। সরকারি এই উদ্যোগের সঙ্গে অবশ্যই বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয় ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে পারবে কিন্তু মশা মারতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতে এখন সুবাতাস বইছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী