আগামী ১২ আগস্ট (সোমবার) সকাল সাড়ে ৮টায় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মূল ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ হজে থাকায় এবার ইমামতি করবেন বড় বাজার মারকাজ মসজিদের খতিব মাওলানা মো. হিফজুর রহমান।
শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে এই বৃহত্তম ঈদগাহ মাঠের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের জামাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনসহ চারস্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ।
এদিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
জনশ্রুতি আছে যে, শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রথমে বড় জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছিলেন। উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়ালাখিয়া থেকে বর্তমান শোলাকিয়া নামে ঈদগাহটি পরিচিতি লাভ করে। ১৮২৮ সালে জঙ্গলবাড়ির জমিদার সাহেবও এ মাঠে নামাজ পড়তে আসতেন। তখন থেকে বড় জামাত শুরু হয়।
১৮২৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বড় জামাতের ইমামতি করেন শোলাকিয়ার সুফি সৈয়দ আহমদ। আন্তর্জাতিক ও বরকতময় শোলাকিয়া ঈদগাহে যুগে যুগে খ্যাতনামা আলেমরা ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২শত ৬৫টি কাতার সংবলিত শোলাকিয়া ঈদগাহে প্রতি বছর লাখ লাখ মুসল্লির সমাবেশ ঘটে।