সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত রায়হান (২৫) উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঝাজিরা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।
মাথার চুল কেটে দেয়া এবং অশ্লীল ছবি তুলে ইন্টারনেটে প্রচারের হুমকি দেয়ার ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
নিয়ামতপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রায়হান তার ভাড়া বাড়িতে উপজেলার নিয়ামতপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী রাব্বিনা আক্তার সুমীকে (১৮) ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ও মাথার চুল কেটে দিয়ে অশ্লীল ছবি তোলে। সুমী উপজেলা সদর ইউনিয়নের শাংশৈইল গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে।
ভুক্তভোগী রাব্বিনা আক্তার সুমী বলেন, রায়হান এক মাস ধরে আমাকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করতো। বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিত। আমি রাজী না হওয়ায় গত রবিবার বিকালে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছ থেকে রায়হান ও তার তিন বন্ধু আমাকে জোরপূর্বক তার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। দেড় ফিট লম্বা মাথার চুল কেটে ফেলে, আমার অশ্লীল ছবি তুলে এবং আর এসব কাউকে বললে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
দুই ঘণ্টা ঘরে আটকে রেখে আমার অশ্লীল ছবি তুলে সন্ধ্যা ৭টার পরে থানায় নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে।
অভিযুক্ত রায়হানের দাবি, ‘সুমী গত তিন-চার দিন আগে আমার বাসায় এসে আমার স্ত্রী রূপাকে একটি ছেলের সাথে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেয়। আমি সেদিন রাজশাহী গিয়েছিলাম। আমি বাড়ি আসলে আমার স্ত্রী রূপা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি সেদিন থেকে সুমীকে খুঁজছিলাম। গত রবিবার বেলা ৫টায় তাকে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছে সুমীকে পেলে তাকে আমার স্ত্রীর কাছে নিয়ে গেলাম চেনার জন্য। আমার স্ত্রী রূপা সুমীকে চিনতে পারায় তাকে ছেলেটির সম্পর্কে জানতে চাই। সুমী ছেলেটির কোনো পরিচয় না দিলে আমরা তার অভিভাবককে ডাকতে বলি। সে অভিভাবককে না ডাকায় আমার স্ত্রী তাকে সামান্য চড় থাপ্পড় দিয়ে মাথার চুল কেটে দেয়। যাতে পরবর্তীতে আর কোনো খারাপ কাজ করতে না পারে।’
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ন কবির বলেন, সোমবার দুপুরে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।