কিশোরগঞ্জের হাওরে পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এইসব এলাকায় তলিয়ে গেছে মাছের ঘের। তাছাড়াও হাওরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ায় বাড়িঘরসহ পানির ঢেউয়ে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ফলে সড়কে পানি উঠায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তাছাড়াও পানি বৃদ্ধির কারণে করিমগঞ্জ ও ইটনা উপজেলায় ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ঝড়ো হাওয়ার কারণে এই ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে করে ১০ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে পানি ও ঝড়ো হাওয়া কমে গেলে উক্ত গ্রামগুলোর বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের হাওরে নিখোঁজের ৩৪ ঘন্টা পর ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একটি সূত্র জানায়, হাওর অধ্যুষিত করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর এবং ইটনা উপজেলার চৌগাঙ্গা অফিসের আওতাধীন শান্তিপুর, চারিতলা, বালিয়াপাড়া, খাকশ্রী, সুতারপাড়া, বালিখলা, পাঁচকাহনিয়া, এলংজুরির বড়িবাড়ি, এন সহিলা, দিয়াকান্দি, বাদলা, কুর্শি, শিমুলবাক, টিয়ারকোনা ও চং নোয়াগাঁও এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন ঝড়ো হাওয়ার কারণে ও নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্যার্তদের জন্য ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গত শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম প্রায় পুরোপুরি বন্যা কবলিত হয়েছে। এছাড়াও তাড়াইল, করিমগঞ্জ, নিকলী, বাজিতপুর ও ভৈরবের আংশিক এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, ইতোমধ্যেই কিশোরগঞ্জ জেলায় বন্যার্তদের জন্য ১৪০ টন চাল, আড়াই লাখ টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কিশোরগঞ্জের হাওরের ধানচাষিরা