ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগালা ভেঙে অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় প্রবেশ করার অভিযোগে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় একটি শিপ ইয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় উক্ত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে অবস্থিত অফিস কক্ষের প্রতিটি রুম এবং মুল গেটে সিলাগালা করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় রাজা কাসেমের মালিকানাধীন বিবিসি স্টিল ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন কোহিনূর স্টিল নামে দুইটি ইয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন।
এসময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, উপকূলীয় গাছপালা ধ্বংসের অভিযোগে চলতি বছরের ২৩ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কোহিনূর স্টিল নামের একটি ইয়ার্ডের ইজারা বাতিল করে প্রশাসন।
এর পরদিন ইয়ার্ডটিতে অভিযান চালিয়ে সেখানে নির্মিত স্থাপনা আংশিক উচ্ছেদ করা এবং শিপ ইয়ার্ডটিকে সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর ইয়ার্ডের মালিক সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগালা ভেঙে অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় প্রবেশ করে ইয়ার্ডে পরিচালনা করে আসছিল এমন অভিযোগে আজ সোমবার প্রশাসনের অভিযানে পাঁচজনকে আটক করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়াও মূল ফটকসহ বিল্ডিংয়ের প্রতিটি রুম সিলগালা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন বলেন, কাশেমের স্ত্রী কোহিনুর বেগমের নামে উত্তর সলিমপুর মৌজার বিএস দাগ ১ এর ৫ একর সমুদ্রসিকস্তি ভূমি দখল ও উপকূলীয় বনে গাছ কেটে কোহিনুর স্টিল নামক একটি শিপইয়ার্ড স্থাপন করায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গাছপালা ধ্বংসের অভিযোগে চলতি বছরের ২৩ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন তাদের ইজারা বাতিল করে স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে সিলগালা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজা কাশেম স্থানীয় কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে নিজেই আইন লঙ্ঘন করে সিলগালা ভেঙে কার্যক্রম শুরু করে পুনরায়।
এ বিষয়টি জানতে পেরে আজ আমি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এ সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা একজন ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং তাদের আটক করে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীর তিন বছরের কারাদণ্ড