পরিচালনা
জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু অভিযোজনে সফলতা পেতে বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বিশ্বব্যাপী সংহতি জরুরি।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ -এর হাই-লেভেল ট্রান্সফরমেশনাল ডায়ালগ: এ ট্রান্সফর্মড ন্যাপ ফর দ্যা ফিউচার শীর্ষক অধিবেশনে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোজন শুধুমাত্র স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নয় বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন।’
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ মাত্র শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ হলেও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ শিকারের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচির খরচ বেড়ে যাবে। সুতরাং সবকিছুকে জলবায়ু পরিবর্তনের লেন্সে দেখতে হবে। আর্থিক রিটার্নের ক্ষেত্রে অভিযোজনকে ন্যায্যতা দেওয়া কঠিন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতের প্রয়োজন মোকাবিলায় আমরা কীভাবে সক্ষমতা তৈরি করব? অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ।’
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী চিন্তা করলেও স্থানীয়ভাবে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী জাতিসংঘের জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: অভিযোজনে সাফল্য বিশ্বকে জানাতে শুরু হচ্ছে ন্যাপ এক্সপো: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী সমিতির এডহক কমিটি বাতিল
বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী সমিতির এডহক ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ এক অফিস আদেশ জারি করে এ কমিটি বাতিল করে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড।
জাতীয় তাঁতী সমিতি পরিচালনার জন্য ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২০২৩ সালে সেই কমিটির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়।
তবে বিধিবর্হিভূতভাবে কমিটির নিয়োগ, কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে তাঁতী লীগের সভাপতি আটক
এর পরিপ্রেক্ষিতে এই এডহক কমিটি বাতিল করা হয়।
তাঁতী সমিতি বিধিমালা-১৯৯১ এ তাঁতী সমিতির গঠন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াসংক্রান্ত বিষয়গুলো বর্ণনা করা আছে। বিধিমালা এর দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের ৪ এর বিধান অনুসারে ‘জাতীয় পর্যায়ে একটি মাত্র তাঁতী সমিতি থাকবে। মাধ্যমিক তাঁতী সমিতিসমূহের সমন্বয়ে জাতীয় তাঁতী সমিতি গঠিত হবে। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে। অর্থাৎ উপবিধি অনুযায়ী মাধ্যমিক তাঁতী সমিতির একজন করে প্রতিনিধি জাতীয় তাঁতী সমিতির সদস্য হবে।
জাতীয় তাঁতী সমিতি বিধিমালা-১৯৯১ এর পঞ্চম পরিচ্ছেদ এর ২২(ঘ) এর বিধান মতে যথাসময়ে নির্বাচন না হলে তথা নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত না হলে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এডহক কমিটি নিযুক্ত করতে পারেন।
সে অনুযায়ী ২০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান দুই বছরের জন্য একটি এডহক কমিটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
উপরন্তু ২০২৩ সালের ৬ জুলাই এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এডহক কমিটির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত করা হয়।
এতে সাধারণ তাঁতী ও তৃণমূল তাঁতী নেতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একে অনিয়ম হিসেবে অবহিত করে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন। তারা এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও আন্দোলন শুরু করেন।
এ বছর জানুয়ারি মাসে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাহাঙ্গীর কবির নানকের কাছে সংক্ষুব্ধ তাঁতীরা ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড ২৭ মার্চ ইস্যু করা অফিস স্মারক নম্বর-২৪.০৫.০০০০.৫২১.০৬.১৫(অংশ-৩).২১-১০৩ এর মাধ্যমে বিদ্যমান বাংলাদেশ তাঁতী সমিতির এডহক ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করে।
আরও পড়ুন: ঈদে ১৫০-১৬০ কোটি টাকার জামদানি বিক্রির আশা রূপগঞ্জের তাঁতী-ব্যবসায়ীদের
যশোরে ছুরিকাঘাতে তাঁতী লীগের সাবেক নেতা খুন
৮ মাস আগে
ব্যাংকিং খাতে প্রাথমিক স্তরে নারী নিয়োগ দ্বিগুণ হলেও পরিচালনায় এখনও পিছিয়ে
২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ব্যাংকিং খাতে নারীদের কর্মসংস্থান বেড়েছে ১ হাজার ৪০৭টি।
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যেখানে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের মাত্র ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ সদস্য নারী।
লিঙ্গ সমতা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬১টি ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৪৬ জন, যা ব্যাংকগুলোর মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ২২ হাজার ২৪৮ জন, যা মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তার অনুপাত সবচেয়ে বেশি। যা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বোর্ড সদস্য হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এর মধ্যে বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে বোর্ডে নারীদের অংশগ্রহণের হার ১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে আলোচিত সময়ে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নারী সদস্য নেই।
২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে ব্যাংকগুলোর জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুসারে, নারী কর্মীদের অংশগ্রহণের হার চাকরির প্রাথমিক পর্যায়ে ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং মাঝারি পর্যায়ে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, উচ্চ পর্যায়ে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশের তুলনায় বেশি।
প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাংকিং খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেশি।
একই সঙ্গে ৩০ বছরের কম বয়সী নারী কর্মীদের অংশগ্রহণের হার ২০ দশমিক ৯৯ শতাংশ; যা তফসিলি ব্যাংকের তুলনায় এ হার দ্বিগুণেরও বেশি। তফসিলি ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশের বেশি।
২০২৩ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ ধাপ এগিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশ বানচালের অভিযোগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য বিবেচনায় ২০২২ সালের ৭১তম স্থান থেকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ৫৯তম।
সিডিপির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সাধারণত নারীর কর্মসংস্থান বাড়ছে এবং নারীর কর্মসংস্থানের অনুপাত কমার সঙ্গে সেই হিসাবের মিল নেই।
ব্যাংকিং খাতে নারীর কর্মসংস্থানের অনুপাত কেন কমছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যাংকিং খাতে নারীর কর্মসংস্থান বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন উভয় ক্ষেত্রেই নারীদের অগ্রাধিকার দেয়। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সম্পৃক্ত নারীদের উৎসাহিত করে ঋণ বিতরণ ও সুদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও কাজ করে যাচ্ছে। নারী কর্মীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ ও ডে কেয়ারের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি সেক্টরে নারীদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে আগ্রহী: নসরুল হামিদ
৯ মাস আগে
ইসাবের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ
ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসাবের নতুন সভাপতি মো. নিয়াজ আলী চিশতি এবং মহাসচিব জাকির উদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ইসাবের আগের কমিটির সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর ও মহাসচিব এম মাহমুদুর রশিদ নতুন পরিচালনা পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদে রয়েছে জেষ্ঠ সহসভাপতি এসএম শাহজাহান সাজু, সহসভাপতি মতিন খান ও মোহাম্মদ ফয়সাল মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. মঞ্জুর আলম ও এম মাহমুদুর রশিদ।
এছাড়াও ইসাবের যুগ্ম মহাসচিব মো. মাহমুদ-ই-খোদা, সহকারী মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহাবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মো. নূর-নবী, প্রচার সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক মো. ওয়াহিদ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল-এমরান হোসেন, মেজর মোহাম্মদ আশেক কামাল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং মো. রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক কার্যক্রমও সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমাদের এখন নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই শিল্পায়নের দিকে অগ্রসর হতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বাসা-বাড়িতেও বৈদ্যুতিক এবং অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সম্পদ ও জানমালের সুরক্ষা দিতে হবে। শুধু রপ্তানি খাত নয়, অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্যও আমাদের কমপ্লায়েন্স হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে ইসাবের ব্যাপকভাকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্সের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০ অনুষ্ঠিত
ইসাবের নতুন সভাপতি মো. নিয়াজ আলী চিশতি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, শিল্পের বিকাশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্নিনিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কোন বিকপ্ল নেই।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ হাতেম, এফবিসিসিআইর পরিচালক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
এর আগে ইসাবের নতুন সভাপতি মো. নিয়াজ আলী চিশতি সংগঠনটির বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: দেশের সেরা হাউজওয়্যার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল আরএফএল
১১ মাস আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিপ ইয়ার্ড পরিচালনা: ৫ জনকে কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগালা ভেঙে অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় প্রবেশ করার অভিযোগে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় একটি শিপ ইয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় উক্ত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে অবস্থিত অফিস কক্ষের প্রতিটি রুম এবং মুল গেটে সিলাগালা করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় রাজা কাসেমের মালিকানাধীন বিবিসি স্টিল ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন কোহিনূর স্টিল নামে দুইটি ইয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন।
এসময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, উপকূলীয় গাছপালা ধ্বংসের অভিযোগে চলতি বছরের ২৩ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কোহিনূর স্টিল নামের একটি ইয়ার্ডের ইজারা বাতিল করে প্রশাসন।
এর পরদিন ইয়ার্ডটিতে অভিযান চালিয়ে সেখানে নির্মিত স্থাপনা আংশিক উচ্ছেদ করা এবং শিপ ইয়ার্ডটিকে সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর ইয়ার্ডের মালিক সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগালা ভেঙে অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় প্রবেশ করে ইয়ার্ডে পরিচালনা করে আসছিল এমন অভিযোগে আজ সোমবার প্রশাসনের অভিযানে পাঁচজনকে আটক করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়াও মূল ফটকসহ বিল্ডিংয়ের প্রতিটি রুম সিলগালা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন বলেন, কাশেমের স্ত্রী কোহিনুর বেগমের নামে উত্তর সলিমপুর মৌজার বিএস দাগ ১ এর ৫ একর সমুদ্রসিকস্তি ভূমি দখল ও উপকূলীয় বনে গাছ কেটে কোহিনুর স্টিল নামক একটি শিপইয়ার্ড স্থাপন করায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গাছপালা ধ্বংসের অভিযোগে চলতি বছরের ২৩ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন তাদের ইজারা বাতিল করে স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে সিলগালা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজা কাশেম স্থানীয় কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে নিজেই আইন লঙ্ঘন করে সিলগালা ভেঙে কার্যক্রম শুরু করে পুনরায়।
এ বিষয়টি জানতে পেরে আজ আমি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এ সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা একজন ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং তাদের আটক করে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীর তিন বছরের কারাদণ্ড
শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ১০ জনের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির আওতায় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে সৌদি কোম্পানি
পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটি) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) মধ্যে একটি কনসেশন সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও সফররত সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ’র উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল এবং আরএসজিটির সিইও জিন্স ও. ফোলি চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানের আগে সৌদি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সৌদি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ ২ দিনের সফরে ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী
এটিই হবে প্রথম বিদেশি কোম্পানি যারা বন্দর পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করছে।
আরএসজিটি একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর, যা সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল এবং মালয়েশিয়ান মাইনিং কোম্পানির (এমএমসি) মধ্যে অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরএসজিটিআই আগামী ২২ বছর পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে।
চলতি বছরের মে মাসে দোহায় সৌদি আরব বাংলাদেশের স্থিতিশীল সরকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়।
সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম সম্প্রতি দোহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবনে যৌথভাবে সাক্ষাৎকালে এই প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ-সৌদি পার্লামেন্ট ফ্রেন্ডশিপ কমিটি
১ বছর আগে
অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনার পরিকল্পনা করছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বুধবার (৩১ মে) সংসদে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট খবর ছড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী ২৩৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিল করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া কোনো অনলাইন পত্রিকা বা পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ থাকলে তা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও মানবিক রাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিচালনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিসিসির চুক্তি
দেশের দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিচালনা এবং রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড এর সঙ্গে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি চুক্তি স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
এদিকে দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এক হাজার ২৯৩টি ইউনিয়ন এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেড এক হাজার ৩০৭টি ইউনিয়ন উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: উন্নত মোবাইল নেটওয়ার্ক-ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আগামী ২০ বছর এই ইউনিয়নগুলোতে ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, হালনাগাদ, প্রতিস্থাপন এবং পরিচালনা করবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর এ থেকে যা আয় হবে সেখান থেকে রাজস্ব পাবে সরকার।
সোমবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের বিসিসি।
চুক্তিতে বিসিসির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, এসসিএলের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী আরিফ আল ইসলাম এবং ফাইবার অ্যাট হোমের পক্ষে এমডি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রফিকুর রহমান স্বাক্ষর করেন।
সোমবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তি রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি পিলার নির্ধারণের পর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে নেটওয়ার্ক স্থাপনে বিটিসিএল সফল না হওয়ায় ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৭ম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স শুরু
তার পরামর্শেই একই খরচে এক হাজার ইউনিয়নের পরিবর্তে দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এটাকে টেকসই করতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের ইন্টারনেট সেবা সুনিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পলক আরও বলেন, ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পটি স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলারকেই মজবুত করবে। নদীর তীর ও সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে সভ্যতা গড়ে উঠেছে।
এরপর রেল ও বিদ্যুতকে নির্ভর করে গড়ে ওঠে শিল্প। কিন্তু কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ফলে আমরা এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছি।
সামনে শতভাগ লেনদেন হবে ক্যাশলেস হবে বলে তিনি জানান।
ইন্টারনেট ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যতীত জীবনযাপন অসম্ভব। টেকসই উন্নয়নে ইনফো সরকার সবক্ষেত্রেই শতভাগ সফল হয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার টানা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা-চিকিৎসা-ব্যবসা-বিনোদন সেবা চলছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
১ বছর আগে
রামগড়ের ইউএনওকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের মোবাইল কোর্ট (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকে নিজ কার্যালয়ে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজন দিনমজুরকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় এ নির্দেশ দেয় আদালত।
জনপ্রশাসন সচিব ও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসককে ( ডিসি) এ নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছেন আদালত।
একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে দেয়া সাজা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদেরকে কেন ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
আরও পড়ুন: জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
পরে ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, আদালত রুল জারির পাশাপাশি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবেন না ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে নিজ কার্যালয়ে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজন দিনমজুরকে কারাদণ্ড দেয়ার অভিযোগে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না দেয়ার দাবিতে ২৩ অক্টোবর রিট করা হয়।
আইনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সাজা দেয়ার বিধান থাকলেও ওই ইউএনও তার কার্যালয়ে বসেই সাজা দেন। রিটে ওই দুই দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবুল কালাম ও রুহুল আমিন এ রিট দায়ের করেন।
৫ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রশাসন-বিজিবি বিরোধ:কারাগারে দিনমজুর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে। আর সেই বিরোধে জড়িত না থেকেও কারাগারে যেতে হলো দুই দিনমজুরকে।
১ আগস্ট রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি বিরোধপূর্ণ জায়গায় বেড়া দেয়ার কাজ করতে গেলে ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত দুজন দিনমজুরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেন।
এ সময় তিনি দিনমজুর দুজনকে পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড পরিচালনা বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
কোম্পানিটির ১০ জন শেয়ারহোল্ডার ডাইরেক্টরসহ ১৬ জন শেয়ার হোল্ডারের করা এক আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
পুনর্গঠিত বোর্ডে সাবেক জেলা জজ হাসান শাহেদ ফেরদৌস, ব্যারিস্টার মারগুব কবীর, এফসিএ ফখরুদ্দিন আহমদ ও সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী মো. ইকবাল জামানকে পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ মে ডেসটিনির শেয়ার হোল্ডার ডাইরেক্টর বিপ্লব বিকাশ শীলসহ ১৬ জন শেয়ার হোল্ডার বাদী হয়ে কোম্পানির এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি কোর্টে আবেদন করেন।
আবেদন বলা হয়, ২০১১ সাল পর্যন্ত কোম্পানির নিয়মিত এজিএম হয়েছে। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কোন এজিএম হয়নি। কোম্পানির এমডি রফিকুল আমিন এবং বেশ কয়েকজন ডাইরেক্ট ফৌজদারি মামলায় আটক থাকায় এজিএম হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ২০০ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত
আবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে কোম্পানিটি অবসায়নের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট এ বিষয়ে একটি আদেশ দিলেও আপিল বিভাগ তা স্থগিত রেখেছেন। তবে কোম্পানি পরিচালানা ও এজিএম করা থেকে বিরত থাকার কোন আদেশ নেই। এ আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট বোর্ড পুনর্গঠন করে এজিএম করার অনুমতি দেন।
আদালতে এ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এছাড়া এ আবেদনের বিরোধিতা করার জন্য এতে পক্ষভুক্ত হন কারাবন্দী ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিন। রফিকুল আমিনের পক্ষে শুনানিতে ছিল আইনজীবী উজ্বল কুমার ভৌমিক।
পরে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন জানান, আদালত হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে দিয়ে বোর্ড পুনঃঠগঠন করে দিয়েছেন। এতে করে কোম্পানির যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তা দূর হবে। হাইকোর্টে পুনঃর্গঠিত বোর্ডে পাঁচজনকে রাখতে বলেছেন। এছাড়া ৯ জন সদস্য বোর্ডে রয়েছেন। এখন এই পুনঃর্গঠিত বোর্ড ডেসটিনি পরিচালনা করবেন। তবে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা হতে হবে শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থে।
আরও পড়ুন: হারুনসহ ডেসটিনির ৪৫ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
২ বছর আগে