নিহত হাসান আলী (২৫) পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে।
মঙ্গলবার মোমিনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫২ এলাকায় হাসানের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে বিজিবির উপস্থিতিতে পঞ্চগড় থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মামুনুল হক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গভীর রাতে হাসান আলীসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সীমান্ত অতিক্রম করে গরু আনতে ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করে। এসময় বেরুবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসান আলী ঘটনাস্থলে মারা যান। তবে অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
হাসানের স্ত্রী সাদিয়া জাহান অভিযোগ করেন, ফজরের নামাজের আগে বিএসএফ সদস্যরা হাসানের লাশ মেইন পিলার ৭৫২ এর বাংলাদেশি এলাকার অভ্যন্তরে মোমিনপাড়ায় ফেলে রেখে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মোমিনপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস জানান, গুলিবিদ্ধ হাসান আলীর লাশ দেখতে পেয়ে বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে বিজিবির উপস্থিতিতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, যেহেতু গুলিবিদ্ধ লাশটি বাংলাদেশি এলাকায় পাওয়া গেছে। একারণে তদন্ত ছাড়া কিছু বলা সম্ভব নয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মামুনুল হক জানান, হাসানের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার সঙ্গীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাদের কাছে ঘটনা শুনে এবং সুরতহাল রিপোর্ট পেলে এ ঘটনার সঠিক তথ্য জানা যাবে।