শনিবার রাত ১০টার পরে সাবিনা ইয়াসমিন জেলার পঞ্চগড় সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন, জেলা শহরের তুলারডাঙ্গা, মুজিবনগর, ঘাটিয়া পাড়া, কমলাপুর, সিএন্ডবি মোড়, রাজনগর শাহী মসজিদের সামনেসসহ বিভিন্ন আশ্রয়ন প্রকল্পের শীতার্তদের খুঁজে খুঁজে কম্বল বিতরণ করেন। কম্বল পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন শীতার্তরা।
আরও পড়ুন: শীতের প্রকৃত চিত্রের দেখা মিলেছে
কচুয়ায় শীতার্তদের মাঝে ৮ হাজার কম্বল বিতরণ
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কয়েকশ শীতের কম্বল নিয়ে জেলা প্রশাসক স্টেশনের প্লাটফর্মে অবস্থানকারী শীতার্তদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন। রেলস্টেশনের প্রধান ফটকের সামনের রিকশা, ভ্যান ও অটোবাইক চালকসহ স্থানীয় দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।
এছাড়া জেলা প্রশাসক পায়ে হেটে ঘুমন্ত পরিবারের বাড়িতে গিয়ে কম্বল নিয়ে হাজির হন। শীতের রাতে ছিন্নমূল মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তাদের দুর্ভোগ কমাতে রাতের আধাঁরে কম্বল বিতরণ করার চেষ্টা করছেন সাবিনা ইয়াসমিন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল মান্নান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাটসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কম্বলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
নাটোরে দরিদ্র প্রবীণদের মাঝে হুয়াওয়ের কম্বল বিতরণ
সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রায় ১০ লাখ জনগোষ্ঠীর এই জনপদে সরকারি বেসরকারিভাবে প্রায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে। শীতে এলাকার কেউ যেন কষ্ট না পায় এজন্য শীতার্তদের খুঁজে খুঁজে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।’
এদিকে, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শীত ও শীতজনিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতেও রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। বহি:বিভাগেও রোগীর ভিড় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, রবিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এখানে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।