পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ মাস্টার ইদ্রিস আলি জানান, গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার।
এদিকে, পানি বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর ও আলীয়াবাদ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নর্থ চ্যানেলে ডুবে গেছে ২০ একর জমির ভুট্টা, আইশ ও তিল। এছাড়া পুরাতন মোহনমিয়ার হাট এলাকার একটি সড়কের ২০ মিটার অংশ পানিতে ধসে গেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি সড়ক।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান জানান, প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। জমি তলিয়ে আউশ ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
ডিক্রিরচরের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান জানান, পানি বেড়ে তার ইউনিয়নে ৩৩০ একর জমির ভুট্টা, আউশ ধান এবং বাদাম তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
আলীয়াবাদ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থানরত তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির ফলে মধুমতি ও পদ্মা নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করতে।’