দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের হায়দারের চর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন(২৫) এবং হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুন (৩৮)।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও একবছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, তাজপুর গ্রমের নাহারুল ইসলামের ছেলে রনি ইসলাম ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সোনাইকুন্ডি বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি।
এরপর ২০১৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি বিকেলে চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর চরে বালির ভেতর পুতে রাখা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা হলে দৌলতপুর থানা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে একই গ্রামের প্রবাসী আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুনের সাথে রনি ইসলামের পরকীয়া সম্পর্ক হয়। পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে সীমা খাতুন কৌশলে রনি ইসলামকে উদয়নগর চরে ডেকে নিয়ে দেবর সজিব হোসেনের সহায়তায় তাকে হত্যা করে লাশ চরের বালির ভেতর পুতে রাখে।
২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি হত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হলে ১৫ জনর স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, রনি ইসলাম হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আদালতের বিচারক দেবর সজিব হোসেন ও ভাবি সীমা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও একবছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।