কর্ণফুলী পানি বিদ্যুত কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে পানি রুলকার্ভের (পানির পরিমাপ) চেয়ে বর্তমানে ২ ফুট মিন সী লেভেলেরও (এমএসএল) কম রয়েছে। এই অবস্থায়ও প্রতিনিয়ত বিদ্যুত উৎপন্ন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিদিন কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাচ্ছে।
তবে বৃষ্টির ভরা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে পানির এরকম সঙ্কট সচরাচর দেখা যায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
কাপ্তাই লেকে পানি কম থাকার কথা স্বীকার করে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় জলাধারে পানি জমছে না বরং জলাধারে যে পানি জমা আছে তা খরচ করে বর্তমানে বিদ্যুত উৎপন্ন করা হচ্ছে।
প্রকৌশলী এ টিএম আব্দুজ্জাহের আরও বলেন, কাপ্তাই বিদ্যুত কেন্দ্রে মোট পাঁচটি জেনারেটর রয়েছে। এই পাঁচটি জেনারেটর থেকে প্রতিদিন ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু হ্রদে পানি কম থাকায় এতদিন ৪ নম্বর জেনারেটরটি বন্ধ রেখে অন্যান্য জেনারেটর থেকে সীমিত পরিমানে বিদ্যুত উৎপাদন করা হচ্ছিল। কিন্তু দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবার কারণে শনিবার রাত থেকে কেন্দ্রের ৩ নম্বর জেনারেটরটিও বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে পাঁচটির মধ্যে ৩টি জেনারেটর থেকে ১১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হচ্ছে।
উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে, বলেন তিনি।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরেকটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশে একমাত্র কাপ্তাই থেকে অত্যন্ত কম খরচে বিদ্যুত উৎপাদন করা হয়ে থাকে। পানির সাহায্যে বিদ্যুত উৎপাদন করায় কাপ্তাইয়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুত উৎপাদন খরচ পড়ে মাত্র ২৫ পয়সা। কিন্তু বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পরিমাণ মতো পানি না থাকায় বিদ্যুত উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
কিছু দিন যদি বৃষ্টি না হয় ভবিষ্যতে উৎপাদন আরও কমে আসতে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে।