এ নিয়ে বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করার হুমকিসহ নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখান তারা।
ওই দুই শিক্ষক হলেন- প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান ও আইসিটি শিক্ষক মো. সোহেল রানা।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, ওই দুই শিক্ষক ফরমপূরণ খরচ বাবদ কোনো প্রকার রশিদ না দিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১ হাজার ৯৫০ টাকা ও অন্যান্য বিভাগের জন্য ১ হাজার ৮৫০ টাকা করে নিলেও সময় মতো ব্যাংকে টাকা জমা দেননি। যে কারণে বোর্ড থেকে তাদের প্রবেশপত্রও আসেনি।
তারা আরও জানায়, বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪ জন, বাণিজ্য বিভাগে ৪ জন ও মানবিক বিভাগে ৩৬ জন মোট ৪৪ জন পরীক্ষার্থী টাকা জমা দিয়েছে। টাকা জমার রশিদ চাইলে পরে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
অভিযোগের ব্যাপরে প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান বলেন, আইসিটি শিক্ষক সোহেল রানার কাছে বোর্ডের ফি টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি টাকা জমা না দিয়ে ভুয়া রশিদ এনে দেন। যা আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।’
প্রধান শিক্ষক তার গাফিলতির কথা স্বীকার করে বলেন, যখন তিনি বোর্ডে গিয়ে জানতে পারেন যে টাকা জমা হয়নি, তখন তিনি টাকা জমা দিয়ে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র আনার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক সোহেল রানা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সময় মতো টাকা জমা দিয়েছি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিদ্যালয়ে আসলে তিনি সকল প্রমান দেখাতে পারবেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রবেশপত্র আনার ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।