গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাট ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ এমন নৃশংস ঘটনায় ফজলুল করিম কালুর ছেলে আশিক ও তার মাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ বিষয়ে এএসপি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে আশিকের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি।’
স্কুলছাত্রীর এক আত্মীয় জানান, সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘আশিক বাহিনী’কে নেতৃত্ব দেয়া আশিক প্রায়ই ভিকটিমকে উত্যক্ত করতো। প্রেম না করলে তার বাপকেও মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে।
মেয়েটি ভয় না পেয়ে বাড়িতে গিয়ে হুমকির বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে খুলে বলে এবং তার আত্মীয়-স্বজনরা বিষয়টি আশিকের পরিবারকে জানায়।
ক্ষুব্ধ হয়ে আশিক গত রবিবার রাতে তার এক সঙ্গীকে সাথে নিয়ে ভিকটিমের ঘরের বেড়া ভেঙে মেয়েটির বুকে ছুরি চালিয়ে দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এলে ওই দুই বখাটে পালিয়ে যায়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, ‘মেয়েটিকে ৩২টি সেলাই দিতে হয়েছে।’