আলফাডাঙ্গা
আলফাডাঙ্গার মেয়রের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল, বিব্রত আ.লীগ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফারের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও চ্যাটিং ভাইরাল হয়ে এখন ফেসবুক আর ইউটিউবে ঘুরছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিব্রত। ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ জনগণ, ধর্মপ্রাণ মানুষ আর সুশীল সমাজও।
যদিও মেয়র সাইফার ভিডিওটি সুপার এডিট করে তাকে মানুষের কাছে ছোট করার চক্রান্ত বলে দাবি করছেন।
তিনি বলছেন, সামনে আমার নির্বাচন এই কারণেই একটি মহল আমাকে সামাজের কাছে হালকা করার জন্য এই জঘন্যতম কাজটি করেছে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, চট্টগ্রামে শিক্ষক আটক
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, মেয়র সাইফার ভিডিও চ্যাটিংয়ে তার বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শন করছেন একজন নারীকে। ওই নারী তার শরীরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ আবার আওয়ামী লীগ নেতা সাইফারকে প্রদর্শন করছেন। উভয়ে যৌন উত্তেজক কথাবার্তাও বলছেন।
হঠাৎ এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে ক্ষোভ ও বিব্রতকর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহাদুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়রের যৌন ভিডিও দেখে মর্মাহত হয়েছি। এটি আওয়ামী লীগ ও জনগণের জন্য লজ্জা।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি অবশ্যই লজ্জার এবং বিব্রতকর। যে কোন জনপ্রতিনিধির জন্য এটি অপমানের, তিনি এর সঠিক তদন্তের দাবি করেন।
এই ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেনের বলেন, এটা দলের জন্য বিব্রতকর। তবে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে সেটি অস্বাভাবিক নয়, তবে এটা ভাইরাল করা ঠিক হয়নি। ঘটনাটির জন্য আমিও লজ্জিত।
নির্বাচিত আওয়ামী লীগের পৌর মেয়রের এই ধরণের ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইসতিয়াক আরিফ জানান, এটা দলের জন্য বিব্রতকর, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ব্যক্তি অপরাধের দায় দল নেবে না।
প্রসঙ্গত, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র সাইফারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে ২০২০ সাল থেকে অনুসন্ধান চলছে। এই অনুসন্ধান এখনও চলমান।
এছাড়াও মেয়রের দুই ভাই জাপান ও ওসমান মোল্যার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পুলিশকে মারধর ও সাংবাদিক নির্যাতনের মামলাও আছে তাদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগ ডের নামে অশ্লীলতা বন্ধ করতে নির্দেশ
চাঁদপুরে অশ্লীল ছবি ধারণকারী প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য আটক
২ বছর আগে
ফরিদপুরে রাজাকারপুত্রকে স্বেচ্ছাসেবক লীগে পদ দেয়ার অভিযোগ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তযুদ্ধকালীন পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত ও শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের ছেলেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হারিচুর রহমান সোহানকে সংগঠনের উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হারিচুর রহমান সোহানের বাবা আলফাডাঙ্গা উপজেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মোল্যা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ট্রাকচাপায় ২ বন্ধু নিহত
এতে বলা হয়, আবদুর রহমান মোল্লা আলফাডাঙ্গা উপজেলায় পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পরিচিত। সরকারের গেজেটে রাজাকার হিসেবে তার নামও রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তিনি।
এছাড়া আবদুর রহমানের বড় ছেলে নুরুল ইসলাম লিটন স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং এক সময় উপজেলা যুবদলের সভাপতিও ছিলেন। পদ পাওয়া সোহান ছাত্র জীবনে কোনোদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেননি। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কোনো সভা-সমাবেশেও যোগ দেননি তিনি। ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি এনায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রবিন অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘কোনো স্বাধীনতা বিরোধীরপুত্র স্বেচ্ছাসেবক লীগে আসতে পারবে না। আমরা তদন্ত করব। সত্যতা পেলে যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ বলেন, ‘উপজেলা কমিটি আগে থেকে আমাদের কিছু জানায়নি। আমরাও হারিচুর রহমান সোহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন তার বাবা একাত্তরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
২ বছর আগে
ফরিদপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিক গুরুতর আহত, ঢামেকে স্থানান্তর
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলম (৪২) মারাত্মক আহত হয়েছেন। রাতেই তাকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পবনবেগ পূর্বপাড়া নতুন মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সেকেন্দার আলম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোসলেম শেখের ছেলে। তিনি আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাপ্তাহিক আমাদের আলফাডাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দৈনিক ভোরের পাতার আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক সেকেন্দার আলম নিজবাড়ি থেকে ইফতার শেষে মোটরসাইকেল যোগে পবনবেগ বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তার মোবাইলফোনে কল আসলে তিনি মোটরসাইকেলটি থামিয়ে কলটি রিসিভ করে কথা বলতে থাকেন। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে দুর্বৃত্তের দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই নারীসহ ৪ ভুয়া সাংবাদিক আটক
পরে পথচারীরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলমকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিলে। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
৩ বছর আগে