তিনি আলফাডাঙ্গা উপজেলার আজমপুর গ্রামের সিদ্দিক শিকদারের ছেলে।
ভোররাতে ভাঙ্গা উপজেলার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলায় চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান র্যাব-৮ সিপিসি-২ এর কমান্ডার দেবাশীষ কর্মকার।
তিনি জানান, ফরিদপুর, খুলনা ও পাবনা জেলায় চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকি, সাইবার অপরাধসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে লিটনের বিরুদ্ধে। ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অপপ্রচার করে ব্লাকমেইল এবং গ্রামের সহজসরল অনেক মানুষের সাথে সরাসরি প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামি তিনি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বলেন, স্থানীয়দের কাছে প্রতারক ও ছদ্মবেশী অপরাধী হিসেবে পরিচিত লিটন শিকদার এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নিজেকে তিনি একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
র্যাব জানায়, ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার লিটন শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।