তারা হলেন- রাজবাড়ী কোর্ট থেকে আসা সোনালী আক্তার (২১), রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে আসা আলিসা (২০) ও গোপালগঞ্জ থেকে আসা ময়না (১৮) এবং শরীয়তপুর থেকে আসা আছিয়া (১৭)।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর পরিচালিত এ সেভ হোমটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা মহল্লার এলাকায় সোহরাওয়ার্দী লেক পাড়ের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।
ওই সেভ হোম সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে মোট ৭২ জন নিবাসী ছিলেন। এর মধ্যে থেকে চারজন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা দুই আনসার সদস্য সালমা বেগম (২৬) ও বিউটি আক্তারের (২৭) ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে গ্রিল ভেঙে পাচিল টপকে পালিয়ে যায়।
জেলা ও উপজেলায় পুলিশের হাতে আটক হওয়া এরা সকলে ভবঘুরে হিসেবে আদালতের মাধ্যমে এ সেভ হোমে রয়েছেন।
এদের মধ্যে আলিসা আছেন ২০১৫ সাল থেকে। বাকিরাও তিন কিংবা চার বছর ধরে আছেন। এদের আইনগত অভিভাবক না পাওয়ায় আদালত তাদের সেভ হোমে পাঠায়।
সেভ হোমের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রুমানা আক্তার বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত দুই আনসার সদস্য ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে পালিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ওই নিবাসীদের সন্ধানে পুলিশের পাশাপাশি সেভ হোম কর্তৃপক্ষও কাজ করছেন।
ফরিদপুর সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আলী আহসান বলেন, ওই নিবাসীদের নিরাপদে রাখার জন্য জেল খানার মত ১৮ ফুট উচু সিমানা প্রাচীর ও মোটা গ্রিল এ সেভ হোমে ছিল না। গ্রিল ছিল সরু এবং সীমানা প্রাচীর ছিল ছয় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট।
তিনি বলেন, ফরিদপুর সেভ হোম থেকে কোনো নিবাসীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটল।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই সময় যে দুই আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পালিয়ে যাওয়া তরুণী ও কিশোরীদের উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।