ফরিদপুরের তিন পৌর এলাকায় সোমবার থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে।
ঘোষিত বিধিনিষেধ সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত।
এসময় ঘোষিত বিধিনিষেধ জারিকৃত এলাকায় খুলবে না কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চলবে না কোনো প্রকার যানবাহন, থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া জেলায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর সদর, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা পৌর শহর এলাকায় সাত দিনের এই বিধি নিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
সকাল থেকেই দেখা গেছে, ফরিদপুর পৌর শহরের প্রত্যেকটি প্রবেশ দ্বারে বসানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি। কোন যানবাহন শহরের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড আইসিইউয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২২ জুন থেকে খুলনায় ফের লকডাউন
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের পিসিআর ল্যাবে ২৬৩টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১০১টি করোনা পজেটিভ হয়েছে, আর মারা গেছেন আরও দুজন। এনিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়াল ২০১ জন।
ফরিদপুর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর বলেন, ‘শহরের প্রবেশের সকল সড়কে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাউকেই চলা ফেরা করতে দেয়া হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় আরও এক সপ্তাহ বাড়ল লকডাউন
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, হঠাৎ করে করোনার শনাক্তের হার বেড়েছে, অন্যদিকে তুলনামূলক ভাবে মৃত্যুও বাড়ছে। যে কারণে জেলার মানুষের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তিন পৌর শহরে সাত দিনের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য জেলার সকলকেই সহযোগিতা করতে হবে, তবেই আমরা করোনা জয় করতে পারব। শুধু ম্যাজিস্ট্রেট বা আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দিয়ে এই মহামারির হাত থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব হবে না।’