প্রশাসন
যেকেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই যেকেউ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘নিজেদের কার্যক্রম নিয়ে সরকারকে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, এটিই বর্তমান প্রশাসনের সফলতা। কেউ বর্তমান সরকারের সমালোচনা করতে ভয় পান না।’
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ইফতার ও নৈশভোজে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সবার প্রতি প্রশ্ন রেখে উপদেষ্টা বলেন, ‘বছরখানেক কিংবা আট মাস আগে ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা কী আপনি করতে পারতেন, যেটা আপনি বর্তমানে করতে পারছেন? যদি আর কিছু না হয়, তবুও সরকারের অন্তত একটি সফলতা হচ্ছে, যে কেউ ইচ্ছা করলেই নির্ভয়ে সরকারের সমালোচনা করতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের মূলকথা।’
এ সময়ে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন, বিম্সটেক সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্রা মনি পান্ডে, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং-সিক, জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা সিনিচি, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক ও ডিক্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুই মাসের মধ্যে তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় জীবনের এক কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। তবে অন্তর্বর্তী সরকার সব আকাঙ্ক্ষাই যে পূরণ করতে পারছে, তা বলছি না। তবে এমন একটি পথ তৈরি করতে হবে, যা সত্যিকার অর্থে বৈষম্যমুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজের চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাবে দেশকে।’
‘কিছু কিছু সংস্কার নির্বাচনের আগেই করতে হবে। যেটা সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে চেষ্টা করছে, যাতে নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। আর কিছু সংস্কার পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গেল ২৭ বছর ধরে বিভিন্ন জটিল ইস্যুতে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া—দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক—এগিয়ে নিতে সামনের সারিতে ছিল ডিক্যাব।’
‘সামনের দিনগুলোতে, বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি জনগণ ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন ডিক্যাব সদস্যরা,’ বলেন তিনি।
এ কে এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে, তখন পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে ডিক্যাব।’
‘আসুন আমরা বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন দেখি, যা আমাদের জাতির দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং সাফল্যের জন্য অপরিহার্য,’ তিনি বলেন।
২৫ দিন আগে
অনিশ্চয়তায় প্রশাসনে স্থবিরতা, দায়িত্ব বণ্টনের জটিলতা কাটছেই না
আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক হয়ে উঠেনি প্রশাসনিক কার্যক্রম। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি অত্যন্ত ধীর এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেরও প্রায় একই দশা।
সচিবালয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পদে কর্মকর্তাদের মধ্যে বদলি নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা নিয়োগ ও পদোন্নতি পেয়েছে, তাদের মধ্যে এই আতঙ্ক বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে মন্ত্রণালয়ের কাজে এসেছে ধীর গতি।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এখনও সাবেক সরকারের সময়কালে নিযুক্ত সচিব রয়েছেন। ওএসডি বা অবসরে যেতে হয় কি না- এ নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি সচিব-জেলা প্রশাসক নিয়োগ
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৮ জন সচিব বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ শুরু করলেও সবার সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সচিব পদ না পেয়ে বঞ্চিত অবস্থায় অবসরে গিয়েছেন তারা। দীর্ঘদিন পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে তাদের আবার চুক্তিতে সচিব পদে নিয়োগ দেওয়ায় সাবেক সরকারের আমলের বর্তমান কর্মকর্তারা তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। যে কারণে কাজের গতি কমে গিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সরকারের আমলে নেওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে চলমান প্রকল্পগুলোর অর্থ কাটছাঁট করতে বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলো বুঝতেও সময় নিচ্ছেন উপদেষ্টারা। আবার কিছু প্রকল্পের চলমান কাজ বন্ধ রয়েছে। নতুন করেও প্রকল্প নেওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই এই সরকারের।
এর বাহিরেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাঠ লেভেলের ছোটখাটো উন্নয়নমূলক কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। এমনকি বিভিন্ন ভাতাও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বেশকিছু সরকারি ভাতা যথাসময়ে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামে কাবিটা ও কাবিখার কাজও বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যমান সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসহযোগিতার কারণে দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
চলতি সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যেকোনো সরকার যখন দায়িত্ব নেবে, তার নিজস্ব টিম (দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী) লাগবে। তাহলে পুরোনো টিমকে তো সরে যেতেই হবে।’
আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সংস্কারের পর নির্বাচনই দেশের রাজনৈতিক সমাধান’
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা বিপ্লব হয়েছে। বিপ্লবের পরে কোনোকিছু আগের সিস্টেমে চলে না, কিন্তু আমরা এখনও আগের সিস্টেম ধরে রেখেছি। প্রশাসনের কারো কারো অসহযোগিতার কারণে দেশে স্থবিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভাঙা হবে, প্রয়োজন দেখা দিলে প্রশাসনে অসহযোগীদের স্থলে নতুন নিয়োগ নিয়েও সরকার ভাববে।’
এর আগে গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে, প্রশাসনে স্থবিরতা বিরাজ করছে স্বীকার করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনে স্থবিরতা তো আছে। এটা আমরা লক্ষ্য করছি। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে অসহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থবিরতা কেটে যাবে।’
এছাড়াও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে বর্তমানে সচিব নেই। এসব দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিবরা তাদের রুটিন কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তারা কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। এর ফলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি অত্যন্ত ধীর।
এমন পরিস্থিতিতে সব ব্যাচের বঞ্চিত যোগ্য কর্মকর্তাদের উপযুক্ত পদে পদায়নের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অনেকে।
শেখ হাসিনার সময় চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া অন্তত ১০০ কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি অবসরে থাকা হাসিনার সরকারের আমলে বঞ্চিত ৮ কর্মকর্তাকে সচিব পদে চুক্তিতে নিয়োগের পর তাদের সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ হতে পারে নতুন মুখ
তাদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া ড. শেখ আবদুর রশিদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. এম এ মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি। মূলত তারাই এখন প্রশাসন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের সিদ্দিক যোবায়ের এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হয়েছেন ১৯৮৫ ব্যাচের এ এস এম সালেহ আহমেদ।
হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছর পর আগস্টে পদোন্নতি পেয়ে অবসরে গেছেন বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব। বঞ্চিত ২০৬ অতিরিক্ত সচিবের মধ্য থেকে যে চারজনকে সচিব করা হয়েছে তারা হলেন- তথ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার উল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের মো. ফাহিমুল ইসলাম এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বেগম মাহবুবা ফারজানা।
এখন পর্যন্ত এর বাইরে অন্য ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাকে সচিব পদে নিয়োগের খবর পাওয়া যায়নি। তবে শুধু একটি ব্যাচের বঞ্চিতদের মূল্যায়ন ভালো চোখে দেখছেন না বিসিএস ১৯৮২ (বিশেষ) ব্যাচ, ১৯৮৪ ব্যাচ, ১৯৮৫ ব্যাচ, ১৯৮৬ ব্যাচ, নবম, দশম, একাদশ ও ত্রয়োদশ ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অনেকে।
তাদের দাবি, বিসিএস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের কর্মকর্তারা অন্তত এক যুগ আগেই অবসরে গেছেন। অথচ বর্তমানে সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন বিসিএস ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে এই ব্যাচের পাঁচ-ছয়জন সচিবও হয়েছেন। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে তাদের ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাদেরও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: প্রশাসনে স্বচ্ছতার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সংস্কারের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
দীর্ঘ বঞ্চনার পর যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া ১৩৩ জনের মধ্যে ৬৫ জনকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। ৪৫ জন পূর্বের পদে রয়েছেন। এসব দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিবরা তাদের রুটিন কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তারা কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। বাকিদের পদায়নের ফাইল ঘুরছে।
হাসিনার সরকারের আমলে বঞ্চিত বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা মো. সলিমুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘শুধু নিয়মিত নামাজ পড়ি বলে বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে আমাকে পাঁচ-ছয়বার পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। যোগ্যতা থাকার পরও আমাকে সচিব বানানো হয়নি। যুগ্ম সচিব হিসেবে ২০২০ সালের ১৭ মে অবসরে যেতে হয়েছে। অথচ আমার ব্যাচের হেলালুদ্দীন আহম্মদ, ফয়েজ আহমদ, আনিছুর রহমান, সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সত্যব্রত সাহা, আক্তার হোসেন, শহীদুজ্জামান, আকরাম আল হোসেনসহ অনেকে সচিব হয়েছেন। এমনকি আমার সিরিয়ালের বহু পরের কর্মকর্তা কবীর বিন আনোয়ার ক্যাবিনেট সচিব হয়েছেন। সুতরাং সব ব্যাচেই বঞ্চিত কর্মকর্তা আছেন। তাদেরও মূল্যায়ন করা দরকার।’
বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আবু মোহাম্মদ ইউসুফ ইউএনবিকে জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে সচিব বানানো হয়নি। ব্যাচের মেধাতালিকায় আমার পরের জন সুবীর কিশোর চৌধুরীকেও সচিব বানানো হয়েছিল। আমার ব্যাচসহ প্রশাসনে তার জুনিয়র অন্তত দেড়শ কর্মকর্তাকে সচিব বানানো হয়েছে। সুতরাং অন্যান্য ব্যাচেও যারা যোগ্যতা থাকার পরও বঞ্চিত হয়েছেন তাদের এখন মূল্যায়ন করা উচিত।’
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস-উর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন দুই মাসেরও বেশি হয়েছে। তারপর আমি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই প্রশাসনকে একটা সিস্টেমে দাঁড় করাতে কাজ করছি। গত ১৫-১৬ বছরের সমস্যা এই অল্প সময়ে সমাধান করা সম্ভব না। কোন মন্ত্রণালয়ে কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং মন্ত্রণালয়গুলোর দপ্তর বা সংস্থাপ্রধান কাকে বানানো হবে- এসব বিষয় বিবেচনা করে, কে ভালো ও দক্ষ তাকে খুঁজে বের করতে একটা তো সময় লাগবেই। তবে আমরা আশা করছি খুব দ্রুত সময়েই সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে যোগ্য লোক পদায়নের কাজ শেষ হবে। তখন কাজের গতি আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: প্রশাসনিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
১৬৯ দিন আগে
প্রশাসন থেকে ‘ফ্যাসিবাদের ভূত’ সরানোর উপর নির্ভর করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য: ফখরুল
প্রশাসন থেকে 'ফ্যাসিবাদের ভূত' নির্মূল করা না গেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল দেশের প্রশাসনের অবস্থা তুলে ধরেন।
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের ‘ভূতের’ মদদেই ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ধরে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। তাদের সহায়তায় দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। এখনো সেসব ভূত প্রশাসনে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এসব ভূত নির্মূল করতে হবে; অন্যথায় আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।’
নির্বাচনের সময়সূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই সময় দেব, তবে তা হতে হবে যৌক্তিক। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সেই সরকার অবশ্যই জাতির নেতৃত্ব দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিরাজনীতিকরণ সমর্থন করি না। আমরা 'মাইনাস টু' ফর্মুলার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করি, পাশাপাশি মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থানকেও প্রত্যাখ্যান করি। আমরা সত্যিকার অর্থে দেশে সুস্থ, উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
ফখরুল আরও বলেন, 'এজন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা যোগ্য ও সক্ষম এবং আমরা তাদের দ্রুত গতিতে কাজ করার আহ্বান জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা কখনো ব্যর্থ হইনি। ১৯৫২, '৬৯, '৭১ সালের যুদ্ধে এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৯০ সালে আমরা বিজয়ী হয়েছি। বর্তমানে আমাদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইনশাল্লাহ এবারও আমরা বিজয়ী হব।’
শিক্ষক জাতীয়করণ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, 'শুধু জাতীয়করণ দিয়ে আপনাদের সব সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের শিক্ষার মান বাড়াতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা উচিত নয়। তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থেকে দূরে থাকতে হবে; তা না হলে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু আমি জানি আওয়ামী লীগ পিয়ন থেকে শুরু করে গভর্নিং বডির সভাপতি পর্যন্ত সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করেছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যারা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযুক্ত, শিক্ষিত এবং একটি পার্থক্য তৈরি করতে সক্ষম, তাদের আনার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি এটি আন্তরিকভাবে করা হয়, তবে পরিবর্তন আসবে; অন্যথায় তা অধরাই থেকে যাবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
দেশে নতুন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমি আশাবাদী মানুষ। আমরা সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলব এবং এদেশে সত্যিকারের জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করব। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ও তারেক রহমানের স্বপ্ন আমরা পূরণ করব।’
সভায় চৌধুরী মুগিস উদ্দিন মাহমুদ, জাকির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুরসহ শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
১৯০ দিন আগে
সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের আহ্বান তারেকের
‘দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে' উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন, যাতে কেউ নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন। আমাদের এটা দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: নাশকতা-সহিংসতা বা হুমকির বিষয়ে জানাতে সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করুন: আইএসপিআর
বুধবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিশাল সমাবেশে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তারেক রহমান এ আহ্বান জানান।
তিনি বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশবাসীসহ সব রাজনৈতিক দলকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, 'আমি বিশেষভাবে সারাদেশে বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন ধর্ম, দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাশে দাঁড়ান।’
তিনি দেশবাসীকে আইন হাতে তুলে না নেওয়ারও আহ্বান জানান।
বিএনপির নামে কেউ ভাঙচুর ও সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করলে, তাকে ধরে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তারেক।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব পুলিশকে কাজে যোগদানের নির্দেশ নতুন আইজিপির
ধ্বংসাত্মক-প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান খালেদার
২৪৯ দিন আগে
শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ইউএনডিপি
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
পাশাপাশি ইউএনডিপি শিক্ষা প্রশাসনের গতিশীলতা ও পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিক্ষাক্ষেত্রে এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) মাধ্যমে চলমান কার্যক্রমসমূহ আরও বেগবান করতেও কাজ করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের অ্যাসিসট্যান্ট রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ সর্দার এম আসাদুজ্জামান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ অফিসার কিরতিজাই পেহরি প্রমূখ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
জ্বালানি খাতে সবুজ রূপান্তর সংলাপে ইউএনডিপির শুভ্চ্ছোদূত
৩০৫ দিন আগে
প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউপির মনিঞ্জাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ও পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় জেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এঘটনার পর এলাকাবাসী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পিনাকীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
গ্রামবাসীর অভিযোগে বলা হয়, প্রায় তিন যুগ ধরে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর যত্নে কিছু ছায়াবৃক্ষ বড় হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বৃক্ষের ছায়ায় পাঠ নিচ্ছে বহুদিন ধরে। গত ৩ মার্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কর্তৃপক্ষ বা গ্রামের সঙ্গে কথা না বলেই এসব গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।
গ্রামের শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল আলী বলেন, গাছগুলো কাটায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। গাছগুলো আমার হাতে লাগানো, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাছ কাটে না। কিন্তু আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন মর্মান্তিক কাজ করেছেন প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী।
গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার মফজ্জুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ বলেন, গাছ কাটায় কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আমরা জেনেছি বন বিভাগের অনুমতি, মতামত কিংবা তাদের দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করাও হয়নি।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী বলেন, উপজেলার নিবাহী কর্মকর্তার অনুমেতি নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে এই গাছগুলো কাটা হয়েছে।
ইউপি সদস্য সুমন মিয়া বলেন, ইউএনওর অনুমেতি নিয়ে বিদ্যালয়ের নানা জাতের গাছগুলো কেটেছেন শিক্ষিকা।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, ছাতকে বন বিট কর্মকর্তাকে জানানোর পর বিট কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে মতামত ও মূল্য নির্ধারণ করে জেলা কমিটিতে পাঠিয়েছেন।
এব্যাপারে জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছাতক বন বিট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানালেন, তিনি বা ছাতক বন বিটের কর্মকর্তা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারা মতামতও দেননি। মূল্যও নির্ধারণ করেননি।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, অভিযোগ আমিও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ছাতকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত শুরু
টিপু-প্রীতি হত্যা: আ. লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
৩৪৪ দিন আগে
প্রশাসনে ১৩০ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি
প্রশাসনে ১৩০ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। তারমধ্যে তিনজন লিয়েনে আছেন।
সোমবার পদোন্নতির আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২২১ কর্মকর্তা
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের সংখ্যা হলো ৪১৫ জন। যদিও অতিরিক্ত সচিবের স্থায়ী পদের সংখ্যা ২১২টি।
অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে ১৮তম ব্যাচকে মূল ব্যাচ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
একই সঙ্গে এর আগের ব্যাচগুলোর বঞ্চিতরাও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২৪০ সরকারি কর্মকর্তা
৩৫৬ দিন আগে
সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
প্রজনন মৌসুমের কারণে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার উপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই জেলেদের কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমতিপত্র) বন্ধ রাখা হয়েছে।
১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। অবৈধভাবে কেউ যাতে বনে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারেও নেওয়া হয়েছে বন বিভাগের পক্ষে থেকে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ মা কাঁকড়ার প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময়ে প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে সরকারিভাবে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমোদন) বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এই দুই মাসে ডিমওয়ালা মেদী-মায়া কাঁকড়া বিভিন্ন নদী খালে কোটি কোটি বাচ্চা ছাড়ে। আর বনের উপকূলীয় এলাকার হাজারো জেলে এই কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। এ ছাড়া এই কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করে ব্যবসায়ীরাও বছরে কোটি টাকা আয় করেন।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জল ভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গ কিলোমিটার। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
সুন্দরবনের জল ভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। বনের এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এবং মা কাঁকড়ার প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখেন।
আরও পড়ুন: ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
এদিকে এই দুই মাস কীভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো জেলে।
কয়রা উপজেলার ৬ নম্বর কয়রা গ্রামের জেলে শ্যামল কয়াল বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে। বন বিভাগ অনুমোদন বন্ধ করে দিয়েছে তাই সুন্দরবন থেকে তিন দিন আগে কাঁকড়া ধরা বন্ধ করে বাড়ি ফিরে এসেছি। শুধু আমি না আমার মতো সব জেলে নৌকা নিয়ে ফিরে এসেছে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনো লোক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে যায় না। আর যারা যায় তারা অধিকাংশ অতি দরিদ্র পরিবার।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে এই দুই মাস দরিদ্র পরিবারগুলোর খেয়ে না খেয়ে কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। তারপরও সরকারি নিয়ম তো মানতে হবে। তাছাড়া কাঁকড়া ধরা বন্ধের সময়ে সরকারি কোনো ভাতার ব্যবস্থা থাকলে এমন কষ্ট হতো না। তিনি বন্ধের সময়ে সরকারি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে অনুমোদন বন্ধ থাকায় অসহায় জেলেরা অতি কষ্টে জীবনযাপন করে। তাই এই দুই মাস জেলেদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল বলেন, এলাকায় কাঁকড়া ধরা বন্ধের বিষয় মাইকিং করা হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনে কাঁকড়া বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বারের মতো এবারও জেলেদের অনুমোদন বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাঁকড়ার যখন ডিম হয় তখন কাঁকড়া ধরা খুব সহজ। এই সময়ে কাঁকড়া খুব ক্ষুধার্ত থাকে। এদের সামনে যে খাবার দেওয়া হয় তাই খাওয়ার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে। এই সময় যদি কাঁকড়া ধরা না হয় তাহলে পরের বছর বেশি কাঁকড়া উৎপাদন সম্ভব। যে কারণে কাঁকড়ার প্রজননকাল নির্বিঘ্নে রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় নিহত ৩
তিনি বলেন, এখন শুধু মাছের পাস দেওয়া হচ্ছে। মাছের পাস নিয়ে কেউ কাঁকড়া ধরলে বা কোনো নৌকায় কাঁকড়া ধরা সরঞ্জাম পেলে সেসব জেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে বন বিভাগ কঠোর অবস্থা রয়েছে। যাতে করে কেউ কাঁকড়া আহরণ করতে না পারে।
৪৬২ দিন আগে
প্রশাসন একপেশে আচরণ করছে: এ কে আজাদ
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের বাহিনী দিয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফরিদপুরে একটা ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনও একপেশে আচরণ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
নির্বাচনের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী।
এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশকে বেকারত্ব ও ক্ষুধামুক্ত করার মিশনে ঈগলের পক্ষে জনসমর্থন দেখে তা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক ও তার সমর্থকরা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বারবার নানা কায়দায় বাধার সৃষ্টি করছেন। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলা, ভয়-ভীতি দেখানো অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা এবং ১৪টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরও দুই-একটি ছাড়া তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে আমার নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তারা যাতে বাসায় না থাকেন এই ভয়ও দেখানো হচ্ছে। শামীম হকের গুণ্ডাবাহিনী ও পুলিশ হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
তিনি বলেন, গত রাতেও পুলিশ ঈগল প্রতীকের সমর্থক ও একাধিক নেতা-কর্মী বাসায় হানা দিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানান এ কে আজাদ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৪৬৩ দিন আগে
নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আওয়াল।
শুক্রবার যশোরে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশ দেন তিনি।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভা শেষ হয় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে। এরপর ১২টা ৫৫ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, মতবিনিময় সভায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কীভাবে কাজ করছেন। কাজ করতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়ছেন কি না। পড়লে সেগুলো কী ধরনের সমস্যা।
হাবিবুল আওয়াল আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। ঠেকাতে হবে সব ধরনের কারচুপি ও দখলদারিত্ব। এক্ষেত্রে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
সিইসি বলেন, কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে গণমাধ্যমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচন মূলত রিটার্নিং অফিসাররা পরিচালিত করেন। এ কারণে তাদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সব ধরনের দায়িত্ব তাদের।
দেশের বিভিন্নস্থানে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, হয়তোবা দুই-একটি ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যাপকভাবে যাতে সহিংস ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে।
একইসঙ্গে কমিশনের দৃষ্টিতে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হচ্ছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
সিইসির যশোরে আসা উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সকাল থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
মতবিনিময় সভাস্থল যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
৪৭৮ দিন আগে