সরকারের ক্ষমা না পেলে ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদী আবু সাঈদকে (৪৯) আরও আট বছর জেল খাটতো হতো। তিনি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মোস্তাফাপুর এলাকার গয়ের আলীর পুত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে সরকারের বিশেষ ক্ষমায় যে ৩২৯ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুক্তি পেয়েছেন তাদেরই একজন আবু সাঈদ।
বগুড়া জেলখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে নওগাঁ জেলার বদলগাছি এলাকায় ঘটা হত্যা মামলায় আসামি আবু সাঈদ গ্রেপ্তার হোন। ২০০৩ সালের নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রায় হয় মামলার। ওই রায়ে একজনের ফাঁসি, দুজনের যাবজ্জীবন সাজা হয় ও এক জন খালাস পায়। হত্যা মামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আবু সাঈদ বগুড়া জেলখানায় ছিলেন প্রায় ২২ বছর।
বগুড়া কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর আবু সাঈদ বলেন, জানিনা কোন ভাল কাজের জন্য সরকার আমাকে মুক্তি দিল। প্রায় ২২ বছর পর আবার পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারব। আবু সাঈদকে নিতে তার ছোটবোন দুলালী ও দুলালীর ছোট ছেলে আসেন।
বগুড়া কারাগারের জেলার শরিফুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের বিশেষ ক্ষমায় এবার সারাদেশে সাজাপ্রাপ্ত ৩২৯ জন বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বগুড়া জেলখানা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবু সাঈদ। তার ৩০ বছরের সাজার মধ্যে বগুড়া কারাগারে প্রায় ২২ বছর বন্দী ছিলেন।
মুক্তির পরে বাড়ি যাবার সময় মানবাধিকার সংস্থা আইআরএসওপির পক্ষ থেকে আবু সাঈদকে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়।