এ ব্যাপারে ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মাছ চাষি মো. শাহ আলম।
এদিকে, অভিযুক্ত ঠিকাদারের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী। তারা অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা বাজার থেকে ভিটারচর গ্রামে চলাচলের রাস্তার পার্শ্বে প্রায় ৯ বিঘা জমির সরকারি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন ব্যবসায়ী শাহ আলম। এই পুকুরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার পাবদা ও শিং মাছ চাষ করেন তিনি।
শাহ আলম জানান, পুকুরের পাশ দিয়ে ভিটারচর গ্রামে যাওয়া-আসার রাস্তা সংলগ্ন একটি কালভার্ট রয়েছে। এ রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজ চলমান রয়েছে। এর তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন ঠিকাদার নাজমুল আলম খোকন। এ রাস্তার কাজে তিনি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন।
শাহ আলম বলেন, ‘পুকুরের পাশের কালভার্টটি সঠিকভাবে মেরামতের জন্য আমরা ঠিকাদার নাজমুল আলম খোকনের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তিনি কোনো কথাই আমলে নেননি। বরং কালভার্টটি বালু মাটি দিয়ে ভরাট করেন। এতে কালভার্টটি মাটির নিচে চাপা পড়ে ধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে গত ১০ জুলাই রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে মাটির নিচে চাপা পড়া কালভার্ট ও নতুন পিচ ঢালা রাস্তা ভেঙ্গে আমাদের পুকরের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ঠিকাদারের অবহেলার কারণেই এ ক্ষতি হয়েছে।’
‘এ বিষয়ে নাজমুল আলম খোকনের সাথে যোগাযোগ করে অনুরোধ করা হলেও তা না মেনে উল্টো আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।
শাহ আলম বলেন, আমি শেরপুর থানায় গত ১১ জুলাই অভিযোগ দায়ের করেছি। থানা পুলিশ বিষয়টি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
ঠিকাদার নাজমুল আলম খোকন বলেন, ‘এই রাস্তার কাজ সরকারিভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগ ঠিক নয়। তারপরেও যদি কালভার্ট মেরামত প্রয়োজন হয় করে দিব।’
শেরপুর থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’