রবিবার সকাল ৬টার দিকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে বগুড়াগামী একটি যাত্রীবাহী বাস বগুড়ার দিকে আসার পথে বিপরীতমুখী পাথর বোঝাই ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও ট্রাকের সম্মুখ ভাগ দুমড়ে মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৬ জন মারা যায় এবং ১৫ জন আহত হন।
পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: যশোর ও সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৯
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০, আহত ৩০
দুর্ঘটনার কারণে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে দুর্ঘটনা কবলিত দুটি গাড়ি সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ বানিউল ইসলাম জানান, যাত্রীবাহী বাসটি ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীতগামী ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের পদক্ষেপে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আহতদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দেশের চিত্র:
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮৪ জন নিহত এবং ৬৭৩ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) তথ্যমতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা ২৫.৫৮ শতাংশ এবং হতাহতের সংখ্যা ৮.৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৪: আরএসএফ
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
আরএসএফ সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সংগঠনটি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ৩৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৫ জন নিহত হন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সারা দেশে ১৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন মারা গেছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ শতাংশ এবং মোট দুর্ঘটনার ৩৭.২৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৩ জন, যা মোট হতাহতের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
চারটি নৌ দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, চারজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ১১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে।