নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চরতোলা এলাকার কাদের বয়াতীর ছেলে আক্তার (৩০), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা সুমনের ছেলে ট্রাক চালক সোহান (২২) ও বরিশাল জেলার কেতায়ালী থানা এলাকার উত্তর জাগুয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ট্রাকের সহকারী রাসেল (২২)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৩
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের খাঞ্জাপুর এলাকায় শুক্রবার দিবগত রাত ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, বরিশালগামী একটি মিনি ট্রাক খাঞ্জাপুর সড়কে বিকল হয়ে পড়ে ছিল। সেটি টেনে নেয়ার জন্য বরিশালগামী আরেকটি ট্রাক পাশে থামিয়ে রেখে রশি দিয়ে বাঁধছিলেন চালক ও হেলপার। এ সময় পেছন থেকে বরিশালগামী একটি কাভার্ডভ্যান এসে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই চালক ও একজন সহকারী নিহত হন।
তবে কাভার্ড ভ্যানের কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা জানাতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া ও ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তরের জন্য মর্গে পাঠানো করা হয়েছে। তিনটি গাড়ি থানায় আটক আছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি
দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা গত নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে। মাসজুড়ে সংঘটিত ৪১৭ দুর্ঘটনায় ৪৩৯ জন নিহত এবং ৬৮২ জন আহত হয়েছেন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজছাত্র নিহত
সংস্থাটির তথ্যমতে, গত অক্টোবর মাসে ৩১৪ দুর্ঘটনায় ৩৮৩ জন নিহত হন।
গত নভেম্বর মাসে এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এ ধরনের ১২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। যা মোট নিহতের ৩২.১১ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা মোট ঘটনার ৩০.৬৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৪২ শতাংশ। আর যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, যা মোট নিহতের ১১.১৬ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। রাজধানীতে ১১১ দুর্ঘটনায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২২ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪ জন।