তারা হলেন- শেরপুর পৌরশহরের হাসপাতাল রোড পল্লীবাস এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে মো. নাহিদ হাসান লিটন (৩৪), পাশের খেজুরতলাস্থ শান্তিনগর পাড়ার শাহ আলম শেখের ছেলে মো. আরিফ শেখ (২৭) ও পশ্চিম দত্তপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে মো. তবিবর রহমান টিপু (২৯)।
অপহৃত ইকবাল হোসেন (২৬) জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা গ্রামের রাজাবুল ইসলামের ছেলে।
গত ৬ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় শুক্রবার অপহৃত ব্যবস্থাপকের ভাই নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান না পেলেও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও হেলমেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে ধর্ষণ
মামলা সূত্রে জানা যায়, লাল তীর নামের একটি কোম্পানির শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় বীজ ও কীটনাশক বিপণন ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতেন ইকবাল হোসেন। তিনি শেরপুর শহরের তালতলা এলাকাস্থ ভিআইপি ছাত্রাবাসে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো ৬ ডিসেম্বর সকালে কোম্পানির অর্ডার নিতে এবং বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য বেরিয়ে যান। এরপর থেকে আর অফিসে আসেননি। এমনকি তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। গত ৮ ডিসেম্বর কোম্পানির পক্ষ থেকে তার বাড়িতে লোক পাঠানো হয়।
মূলত এরপরই ইকবালের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সবাই জানতে পারেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে শেরপুর থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে উপজেলার চান্দাইকোনা-রানীরহাট সড়কের ভবানীপুর এলাকায় সড়কের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ইকবালের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও হেলমেট উদ্ধার করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে শুক্রবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ওই ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি।
মামলার বাদী নাজমুল হুদা বলেন, পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন তার ভাইয়ের বন্ধু ছিল। তবে কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। নিখোঁজ হওয়ার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে নাহিদ হাসান লিটন মুঠোফোনের মাধ্যমে ভাই ইকবালকে শহরের খেজুরতলাস্থ একটি মেশিনারিজ দোকানে ডেকে ৫০০ টাকা ধার চান। কিন্তু না দেয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে নাহিদ ও আরিফের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে অপহরণের পর লাশ গুম করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত তিনজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তির ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হলেও ইকবাল হোসেনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাই অপহৃত ব্যক্তির সন্ধান পেতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।’