মৃতরা হলেন- উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের পোঁতা গ্রামের বিপুল বর্মনের স্ত্রী লিপি রানী (২৬) এবং তাদের ছেলে বাপ্পী বর্মন (৩)।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবীর বলেন, বিপুল বর্মন দুপচাঁচিয়া উপজেলায় একটি চাল কলে শ্রমিকের কাজ করেন। এ কারণে তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। মাঝে মধ্যে স্ত্রী সন্তানের খবর নিতে বাড়িতে আসেন। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে যানবাহন না থাকায় বিপুল বর্মন নিয়মিত বাড়িতে আসতে পারেন না। বাড়িতে বিপুলের বাবা-মা এবং স্ত্রী সন্তান বসবাস করেন।
ওসি জানান, বুধবার ভোরে বিপুলের একমাত্র ছেলে বাপ্পীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার স্ত্রী। এরপর নিজেও বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘরে গোঙ্গানীর শব্দ পেয়ে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা শ্বশুর-শাশুড়ি জেগে উঠে দেখতে পান নাতির মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় পুত্রবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দুজনের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত নারীর ভাই আনন্দ বর্মনের অভিযোগ, ৫ বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি তাকে অপছন্দ করতেন। কারণে অকারণে তার বোনকে মানসিক নির্যাতন করতেন। এ কারণেই সন্তানকে হত্যা করে তার বোন আত্মহত্যা করতে পারেন।