গত ১৮ আগস্ট থেকে অমাবস্যা তিথি ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে অতিবর্ষণ ও জোয়ারের ফলে বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন স্তরের মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ফলে ২১ হাজার ৮২০ হেক্টর জমির রোপা আমন, উফসী আমন, আমন বীজতলা, গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি, পানের বরজসহ আনুমানিক ১৩ দশমিক ৯৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, জেলায় পোল্ট্রি খামার ও ডেইরি খামারসহ ৯০ হাজার গরু, ছাগল, মহিষ এবং ৬ লাখ ৮০ হাজার হাঁস, মুরগিসহ গবাদিপশু ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অতিরিক্ত পানির কারণে জেলার ১০ হাজার ১০১টি ঘেরের আনুমানিক ৩৮ দশমিক ০৩ কোটি টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় জেলার ৫১০ মিটার বাঁধ ও ২৬০ মিটার নদী ভাঙন হয়েছে।
অতিবর্ষণ ও অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে জেলার ১২টি প্রাথমিক ও ২৫টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত পানির স্রোতে প্রায় ৩৮৩ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা গ্রামীণ রাস্তাঘাট আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, অস্বাভাবিক জোয়ার ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সদর উপজেলার ৫ শতাধিক পরিবারকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য উপজেলায় দুস্থ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।