জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীর চাচার বাড়ির সামনে একা পেয়ে রাকিব নামে এক যুবক তাকে শ্লীলতাহানি করে। পরে মায়ের কাছে বলায় শিক্ষার্থীর মা গিয়ে রাকিবকে জুতা দিয়ে মারধর করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ায় শিক্ষার্থী লজ্জায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় কেউ না থাকায় দরজা বন্ধ করে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করত বখাটে মনির। এ বিষয়ে বরগুনার সদর থানায় ছয় মাস আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় মনিরের নামে চার্জশিটও দেয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। মনির এখনো পর্যন্ত পলাতক আছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এরপর থেকে মনিরের ভাই জহির ও ভাগ্নি জামাই চুন্নু তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। মনিরের ভাই জহির ও ভাগ্নি জামাই চুন্নু রাকিব নামের একটি ছেলেকে দিয়ে শ্লীলতাহানি করায়। এই লজ্জার কারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা চলছে।’