বিষয়টি জানাজানি হলে এক সপ্তাহ ধরে মীমাংসার চেষ্টার পর নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রতিবেশী আকরাম ওরফে আক্কেল শেখকে (৪৫) আসামি করে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায় (চরবড়বাড়িয়া গ্রাম) ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্তা ওই নারী জন্ম থেকেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। কৃষক বাবা-মায়ের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে সে তৃতীয়। বাবা-মা আর পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রতিদিন সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়িতে ২৪ বছর বয়সী ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী একা থাকেন।
এ সুযোগে প্রতিবেশী আকরাম ওরফে আক্কেল শেখ বাড়িতে একা পেয়ে কুমারী ওই মেয়েকে একাধিকবার আক্কেল ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মেয়েটির বাবা।
মেয়েটির কৃষক বাবা জানান, ‘তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি গত ১০ দিন আগে তাদের নজরে আসে। এর পর সে মেয়ের কাছে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে আক্কেলের নাম বলেছে। পরে সে আক্কেলের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চলে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরীফুল হক জানান, মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আক্কেল শেখকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ২৪ বছর বয়সী অবিবাহিত ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মিরাজুল করিম জানান, ‘মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটি এখন অন্তঃসত্তা। তিন সদস্যের নারী চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ড তার নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দেয়া হবে।’