শনিবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের কাকডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার লিয়াকত হোসেনের চার মাসের শিশু কন্যা রাফিজা খাতুন, মাদারীপুরের গাছিয়ার জগদীশ হালদারের ছেলে অপূর্ব হালদার (৩৫), একই জেলার আব্বাস উদ্দিন (৪৫), বরগুনার তালতলা নিশান বাড়িয়ার সগীর খানের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩০), কুষ্টিয়ার বটতলার বজলুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), খুলনার সাচিবুনিয়া এলাকার শিরু মিয়ার স্ত্রী রুমি আক্তার (৩৫), একই জেলার দাকোপ উপজেলার ধোপাদী গ্রামের চিত্ত রঞ্জন গাইনের স্ত্রী শোভা রানী গাইন এবং (৪৮) এবং পাটকেলঘাটার কুমিরার দুলাল দাশের মেয়ে পার্বতী দাশ (৩৫)।
এদের মধ্যে পাঁচজন ঘটনাস্থলে এবং একজন খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্হায় শনিবার গভীর রাতে এবং রবিবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৬
আহতদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা রাজীব পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সাথে গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটির ডান পাশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্রাকটিরও সামনের দিকে দুমড়ে যায়।
ঘটনার পর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। পরে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং কাটাখালি হাইওয়ে থানা ও ফকিরহাট থানা পুলিশ ঘণ্টা খানেক চেষ্টা চালিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ খায়রুল আনাম বলেন, ‘আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। পরে দুর্ঘটনা কবলিত যান দুটি সরিয়ে নিলে পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’