বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার চিংড়িখালী ইউনিয়নের সিংজোর গ্রামে নিজ বাড়িতে মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম ওই ব্যক্তির মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। মৃতের স্বজন এবং আশপাশের চারটি বাড়ির ২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, ওই ব্যক্তি আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পাশ্ববর্তী পিরোজপুর জেলায় গিয়ে সে চিকিৎসা সেবা নিতো। শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম ওই বাড়িতে গিয়ে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। শুক্রবার ওই নমুনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.কামাল হোসেন মুফতি জানান, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির স্বজন এবং আশপাশের চারটি বাড়ির ২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একই সাথে ওই পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোড়েলগঞ্জের চিংড়িখালীর পাশ্ববর্তী হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের বড় বাদুরা গ্রামের ৪০ বছর বয়সী একজনের মরদেহ থেকে নেয়া নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ ওই গ্রামের ৫০টি বাড়ি লকডাউন করে এবং একই সাথে স্বাস্থ্য বিভাগ বৃহস্পতিবার মৃতের স্বজন এবং তার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন এমন ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এছাড়া বাগেরহাট সদর উপজেলার বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ওই কিশোরের পরিবারসহ দুইটি বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। ওই কিশোরসহ তার স্বজন এবং পাশ্ববর্তী ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।