স্বাস্থ্য বিভাগ
স্বাস্থ্য বিভাগের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ে যেসব সমস্যা আছে, তা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। এ সমস্য সমাধানে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার জন্য যা যা করা দরকার, তা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সবার আগে আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়ও যদি আমরা উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে সারাদেশ থেকে মানুষ চিকিৎসা নিতে ঢাকামুখী হবে না। আর ঢাকার সাহেবরা বিদেশমুখী হবে না।’
আরও পড়ুন: রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশের প্রত্যেক হাসপাতালে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিস হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকদের মান অন্যান্য উন্নত দেশের চিকিৎসকদের চেয়ে কোনো অংশে কম না। শুধু আমাদের চিকিৎসার মান ও যন্ত্রপাতির উন্নয়ন করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, কাগজে কলমে ভুল হলে তা সংশোধন করা সম্ভব। কিন্তু ভুল চিকিৎসা দিলে তা সংশোধন করা সম্ভব হয় না। আমরা দেশের প্রান্তিক এলাকার সাধারণ মানুষের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নতি করতে পারব না।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুর রহমান, পীরগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতালের পরিচালক ফয়জুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা কমিয়ে আনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৪ মাস আগে
ভোলায় নিউমোনিয়া ৪ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০০
ভোলায় নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য ঠান্ডাজনিত রোগ শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার পর্যন্ত গত এক মাসে মোট ৪০০ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় তিন এবং চরফ্যাসন উপজেলার এক শিশু মারা গেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত এক মাসে জেলায় কমপক্ষে চার শিশু মারা গেছে এবং আরও ৪০০ ও বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জোরদার প্রচেষ্টা নিউমোনিয়ায় মৃত্যু থেকে বাঁচাতে পারে ১ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে: ইউনিসেফ
ভোলা সিভিল সার্জন দপ্তর জানিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মৃত চার শিশুর মধ্যে তিন ভোলা সদরে ও ১ জন চরফ্যাসন উপজেলার।
স্বাস্থ্য বিভাগ শিশু মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য অতিরিক্ত গরম এবং পরে প্রচুর বৃষ্টিপাতকে দায়ী করেছে।
ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বাধ্য এক একটি বেডে একাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালের ৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে শুক্রবার ১০ জন নতুন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে অর্ধ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শয্যা স্বল্পতার কারণে জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে কিছু রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া, ফুসফুস জটিলতায় নটরডেম কলেজের শিক্ষকের মৃত্যু
ভোলা ২৫০ শয্যার জেনালের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তামান্নায়ে হাবিবা জানান, নিউমোনিয়ায় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয় এবং আবহাওয়া জনিত কারনে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগ বাড়তে পারে। চিকিৎসক ও নার্সের সংকট থাকা স্বত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
২ বছর আগে
করোনায় আতঙ্কিত নই, তবে চিন্তিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হয়েছিলাম। কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত।’
রবিবার (২৬ জুন) বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বিতে কলেরা টিকা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের টার্গেটকৃত প্রায় সবাইকেই টিকার আওতায় এনেছি। এতে সংক্রমণ এক শতাংশের নিচে চলে এসেছিল। আমাদের মৃত্যু প্রায় শূন্যের কোটায়। কিন্তু এখন আবার সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশে উঠে এসেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, করোনায় মন্ত্রণালয়ের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসেও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের সচেতন হতে হবে। সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
কলেরা টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কলেরা ও ডায়রিয়া প্রতিরোধে ঢাকার সংক্রমণপ্রবণ পাঁচটি এলাকার ২৩ লাখ মানুষকে ওরাল ভ্যাকসিন খাওয়ানো হবে। আমরা এক থেকে সকল বয়সী মানুষকে এই টিকা দেব। আমরা প্রথমবারের মতো দেশে এই ভ্যাকসিন দেব। এর আগে ট্রায়ালে যে সব এলাকায় টিকা দিয়েছি সেখানে কলেরার প্রাদুর্ভাব একদম কমে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আমাদের শ্রমিকদের কলেরার টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমাদের অনেক শ্রমিকের দেহে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। তাই করোনা টিকার মতো ভবিষ্যতে আমরা তাদেরকেও কলেরার টিকা দিয়ে বিদেশে পাঠাবো।
পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ১৬৮০, মৃত্যু ২
জাহিদ মালেক বলেন, সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে আমরা বহুদিন যুদ্ধ করছি। এক পর্যায়ে আমরা সংক্রামক রোগগুলো প্রতিরোধে অনেকাংশেই সফল হয়েছি। একসময় মহামারিত রূপ নেয়া রোগগুলো এখন শুধুমাত্র সিজনাল রোগ হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ে দেখা যায়। এক সময় ডায়রিয়া-কলেরায় হাজার হাজার মানুষ মারা যেতো। এখন তা হয় না। এর পেছনে সরকার ও আইসিডিডিআরবির গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। সরকার সারাদেশে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা করেছে। সরকার এসব রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার থেকে আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলা হাসপাতালে কলেরা-ডায়রিয়া ইউনিট চালুর নির্দেশ দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহামিদ আহমেদ, ড. মু. শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ইনফেকশন ডিজিজ ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: মির্জা ফখরুল ফের করোনায় আক্রান্ত
২ বছর আগে
গাজীপুরে নিবন্ধন ছাড়াই পোশাক শ্রমিকদের টিকা দেয়া শুরু
গাজীপুরে উপজেলা পর্যায়ে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নিবন্ধন ছাড়াই জাতীয় পরিচয় পত্র দেখে করোনার টিকা দেয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার সকালে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খন্ড এলাকার ফখরুদ্দিন টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকদের টিকা দেয়ার মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ। ওই কারখানায় মোট ১২ টি বুথে ৬ হাজার ৭শ’ শ্রমিককে সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ করার লক্ষ্যে সকাল থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের টিকা দেয়া শুরু
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভূষণ দাস জানায়, উপজেলার বাকি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদেরও ধীরে ধীরে টিকা দেয়া হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুনঃ সৌদিকে তৈরি পোশাক আমদানির আহ্বান বাংলাদেশের
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, সোমবার নগরী ও জেলার মোট আটটি কারখানায় টিকা দেয়া হচ্ছে। কেয়ার বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা পোশাক কারখানায় গিয়ে গিয়ে টিকা দেয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুনঃ ভারত শিগগিরই বাংলাদেশকে টিকা দেবে: দোরাইস্বামি
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনে নগরীর চারটি পোশাক কারখানায় সাড়ে ১২ হাজার শ্রমিকদের টিকা দেয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ঈদের পর প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি কারখানায় টিকা দেয়া হবে। সহজে যাতে শ্রমিকদের টিকার আওতায় আনা যায়, সেজন্য আমরা এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে তালিকা করেই প্রথম ডোজ দেবো এবং দ্বিতীয় ডোজের আগে সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন এর আওতায় আনা হবে।‘
৩ বছর আগে
সিলেটে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ২৩৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন ও করোনামুক্ত হয়েছেন ১০৯ জন। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
সোমবার সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. নুরে আলম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. নুরে আলম শামীম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে মোট ৭৬১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩০.৭৪ ভাগ।
আরও পড়ুনঃ করোনায় খুলনাতে আরও ১১ জনের মৃত্যু
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনা শনাক্ত ২৩৪ জনের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ১৪২ জনের পজিটিভ ধরা পড়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৌলভীবাজার ৪৭ জন। এছাড়া, সুনামগঞ্জে ৯ জন, হবিগঞ্জে ২৫ জন এবং ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জনেরও পজিটিভ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়া হাসপাতালে করোনায় ৯ মৃত্যু, বাড়ছে রোগী
গত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৮ জন, মৌলভীবাজারে ৬ জন ও সুনামগঞ্জে এক জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৪৭ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩২৫ জন, সুনামগঞ্জে ৭ জন, হবিগঞ্জে ২ জন ও মৌলভীবাজারে ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনায় আরও ১৪ মৃত্যু
এ বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ২৬২ জন। এর মধ্যে সিলেটে ১৬ হাজার ৭১৯ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৯৫২ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৬৬৬ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৯২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১০৯ জন। তার মধ্যে সিলেট জেলার ৭২, সুনামগঞ্জের ৮, হবিগঞ্জের ১ ও মৌলভীবাজারের ২৮ জন। আর এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনামুক্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৩৮২ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৫ হাজার ৮৪৮ জন, সুনামগঞ্জ জেলার ২ হাজার ৮১৭ জন, হবিগঞ্জ জেলার ২ হাজার ১১০ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ২ হাজার ৬০৭ জন।
সিলেট বিভাগে সব মিলিয়ে করোনায় ৪৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৮১ জন, সুনামগঞ্জে ৩২ জন, হবিগঞ্জে ১৯ জন এবং মৌলভীবাজারে ৩৫ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে সুস্থ ৮২ জন মিলিয়ে এ বিভাগে মোট সুস্থ হয়েছে ২৩ হাজার ২৭৩ জন।
৩ বছর আগে
সিলেটে করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৯
সিলেট বিভাগে মহামারি করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৯ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৮২ জন।
রবিবার সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে করোনার টিকা তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে, সিলেট জেলায় তিনজন এবং সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে একজন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ওসমানী হাসপাতালে ১৬ জন, সিলেটে ৫৯ জন, সুনামগঞ্জে ৯ জন, হবিগঞ্জে ৯ জন ও মৌলভীবাজারে ৭ জন রয়েছে। এ নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ২৮ জনে। এর মধ্যে সিলেটে ১৬ হাজার ৫৬৬ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৯৪৩ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৬৪১ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৮৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৪ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২২.৫০ শতাংশ
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জন সিলেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সিলেট বিভাগে সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩২৯ জন। এর মধ্যে সিলেটে ৩১১ জন, সুনামগঞ্জে ৬ জন, হবিগঞ্জে ২ জন ও মৌলভীবাজারে ১০ জন।
আরও পড়ুন: নাটোরের ৮ পৌরসভায় ২৯ জুন পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন
সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় ৪৬৭ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৮১ জন, সুনামগঞ্জে ৩২ জন, হবিগঞ্জে ১৯ জন এবং মৌলভীবাজারে ৩৫ জনের মৃত্যু হলো।
এ বিভাগে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২৩ হাজার ২৭৩ জন।
৩ বছর আগে
করোনা: খুলনা বিভাগে আক্রান্ত ৩০ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৫৪২
খুলনায় বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। বিভাগে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। একই সাথে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪২ জনে।
এ অবস্থায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫৬ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ হাজার ৮৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন।
বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭১৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হজার ৫৩৯ জন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
এছাড়া বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৮৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ১৭১ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৪৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ১৬৪ জন।
যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৯ জন। মারা গেছেন ৬৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ হজার ১৬৯ জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৫০ জন। মারা গেছেন ২২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৬৫৫ জন।
মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৯৪ জন। ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৩ জন। মারা গেছেন ৫০ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হজার ৪৪৯ জন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তার দাবি অটোরিকশা, হালকা যানবাহনের কর্মীদের
কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫২১ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হজার ১৮২ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৬ জন। মারা গেছেন ৪৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৬৬৬ জন।
সর্বনিম্মে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৫৭ জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, করোনায় সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চললে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কমবে বলে তিনি আশাবাদী।
৩ বছর আগে
নড়াইল সদর হাসপাতালের শহীদ মিনারটি দেখভালের কেউ নেই
নড়াইল জেলার সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরে নির্মিত শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
৩ বছর আগে
যুক্তরাজ্যে কোভিডে মৃত্যু লাখ ছাড়াল
মহামারি করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসে যুক্তরাজ্যে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার সরকারি তথ্যে দেখা গেছে।
৩ বছর আগে
যশোরে প্রথম ধাপে আসছে ৯৬ হাজার ডোজ টিকা
আগামী সপ্তাহ থেকে যশোরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
৩ বছর আগে