উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের ত্রিশজন উপকারভোগীর মধ্যে বুধবার বিকালে ঘরের চাবি তুলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ১৭৮টি গৃহহীন পরিবার পেলো নতুন ঘর
অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষের অঙ্গীকার কেউ গৃহহীন থাকবে না। আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার। সারা দেশের গৃহীন লোকদের প্রধানমন্ত্রী বসতগৃহ দিচ্ছেন। জেলায় ৪ হাজার গৃহহীন মানুষকে ঘর দেয়া হবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, সদর উপজেলায় গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণের দ্বিতীয় পর্যায়ের সিভিআরপি প্রকল্পের অধীনে ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের আমলে কেউ গৃহহীন থাকবে না: পরিবেশমন্ত্রী
এ প্রকল্পের অধীনে ঘর পেয়েছেন আমির হোসেন, সবিতা রানী দাস, বেগম বিবি, মোছামৎ খাইরুন নেছা, শরীফ উদ্দিন, সাইকন আলী, রুজিনা বেগম, সাদিকুর রহমান শাহিন মিয়া, আল আমিন বোরহান উদ্দিন সালিম উল্লাহ, উমর গনি শাহীন মিয়া আমির উদ্দিনসহ ৩০ জন গৃহহীন মানুষের পরিবার।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগে গৃহহীনদের বাসস্থান নিশ্চিত করা হবে: মন্ত্রী
তারা বিরামপুর গ্রামের বিভিন্ন জনের জায়গায় বসত ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছিলেন। আজ থেকে তারা নিজস্ব ঘর বাড়ির মালিক হয়েছেন।
ভূমিহীন সাইকন আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরের বাড়িতে ঘর তৈরি করে বসবাস করেছি। এতো দিন আমাদের নিজস্ব কোনো ঘরবাড়ি ছিলো না, আজ নিজের ঘর বাড়ি হয়েছে। ’
দিনমজুর শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই উপকার আমরা কোনদিন ভুলবো না। এখন আমাদের নিজস্ব বসতঘর, রান্নাঘর, টয়লেট,পানির টিউবওয়েল সব হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কর্মকর্তার অবহেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল না গৃহহীন পরিবারগুলো!
ছুরত বিবি বলেন, ‘নিজেরা এমন ঘর জীবনের তৈরি করতে পারতামনায় সরকার দিছে তাই পাইছি।’
চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, মো. জসীম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমাসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সম্প্রতি নওগাঁ সদর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১৭৮টি ঘর নির্মাণ করে গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করেছে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন।
যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণই এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছিল।
নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৭৮টি পরিবারের মাঝে প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘরগুলো গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।