রবিবার দুপুরে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপূত্র নদের পাড়ে ভাঙন কবলিত পালেরভিটা ও নীলকন্ঠ গ্রামের শত শত মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙন শুরু হয়। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের পালের ভিটা, মাঝিপাড়া, নীলকণ্ঠ ও হাতিয়া গ্রামের প্রায় ১৭০০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙনে শতাধিক ঘর-বাড়িসহ আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া গত দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় তিন শতাধিক বসতবাড়িসহ কয়েক হাজার একর ফসলি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
তারা আরও জানান, ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙ্গনরোধে চলমান প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার কাজও হুমকির মুখে পড়বে। এছাড়া অব্যাহত ভাঙ্গনে সহস্রাধিক বাড়ি-ঘরসহ কয়েকশত একর আবাদী জমি হুমকির মুখে রয়েছে।
হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বলেন, ‘নদী ভাঙনের ফলে এসব মানুষ সর্বশান্ত হয়ে গেছে। দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সহস্রাধিক বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে চলে যাবে।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আপদকালীন প্রকল্পের মাধ্যমে এক কিলোমিটার জায়গায় ভাঙন রোধে ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার দরপত্র অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত ওই এলাকার ভাঙনরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।’