কালু বরিশাল নগরীর এয়াপোর্ট থানাধীন কাশিপুরের গনপাড়া এলাকার মৃত ওয়াহাব খানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সীমা আক্তার প্রতিদিনের মতো তার বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ের শৌচাগার বন্ধ হওয়ায় সে পার্শ্ববর্তী কালুর বাড়িতে যায়। এসময় কালু ওই শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে এবং হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে একই এলাকার হালিম মাস্টারের বাড়ির গোরস্থানে ফেলে রাখে। ঘটনার দুইদিন পর ১৩ মার্চ ওই গোরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের মা মাহামুদা বেগম বাদী হয়ে কালুর বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান মুকুল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করল আদালত।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, শিশু সীমাকে ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড, অপহরণের ঘটনায় যাবজ্জীবন এবং লাশ গুমের ঘটনায় ৭ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেড় লাখ টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উন্নয়ন সংস্থা আভাষের আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাচ্চু বলেন, বাদীর পক্ষ হয়ে আমরা এই মামলায় আইনি সহায়তা করেছি। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।