মঙ্গলবার বিকালে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য দেব প্রসাদ সাহা বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে।
গ্রেপ্তারের পর যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হলে বিচারক বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ শূন্যরেখা অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর তিনি আবু হানজালা রানার কাছ থেকে এনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন।
গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র্যাব সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিনকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভারতের কাছে তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন।
পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারসের গঠিত তদন্ত কমিটি অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও ভারতের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আরেফের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে।
বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে দেব প্রসাদ সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।
রিমান্ড আবেদন মঞ্জুরের পর তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।